ঈদকে সামনে রেখে মশলার দাম বৃদ্ধি
স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর অভিজাত ও বড় বাজারগুলোর চিত্র ইকটু ভিন্ন। যদিও ক্রেতাদের বেশির ভাগ যাচ্ছেন রাজধানীর পশুর হাট গুলোতে । প্রতিবছরের তুলনায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মশলার দামের চিত্র থাকে ভিন্ন। দোকানদারেরা প্রতিটা পণ্যই বিক্রি করছেন অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি দামে। এতে বিত্তবানদের তেমন একটা সমস্যা না হলেও বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
রাজধানীর মালিবাগ,শান্তিনগর,ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে সবজি, মাছ, মাংস, রসুন ও আদা. মশলার ৫ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৭ দিন ঈদের সরকারী ছুটি হওয়ায় রাজধানীর কাচা সবজি কম আসে,যার কারনে পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকে। তবে তুলনামুলক সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মশলার,পেয়াজ,রশুন,আদার দাম কিছুটা বেড়েছে।
ফকিরারপুল,শান্তিনগর ও এজিবি কলোনির কাঁচাবাজারে প্রতি কেজিলম্বা বেগুন ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা ও কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজিতে।
শান্তিনগর খুচরা বাজারে মুদির দোকানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৭ টাকা,রসুন ১৫০ টাকা, একদানা রসুন ১৪০ টাকা, চায়না আদা ১৯০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯০ টাকা, বোতলবদ্ধ সয়াবিন তেল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ডিমের দোকানে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ৩৫ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ৪৫ টাকা, হাসের ডিম ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারের গিয়ে দেখা যায় সকল প্রকার মাছ এবং গরুর মাংশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ফার্মের মুরগির প্রতি কেজি ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাক।
অনান্য পন্যের তুলনায় মশলার দাম কিছুটা বেশি গরম মসলার প্রায় সবগুলোর দাম বেড়েছে। দারুচিনি প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি ছোট এলাচ দুই হাজার টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ২০০ টাকায় এবং বড় এলাচ দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে ইরানী জিরা ৫০০ টাকায় এবং ইন্ডিয়ান জিরা ৩০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।