শপথানুষ্ঠানে মনোযোগ দিয়ে যে আয়াত শুনলেন ট্রাম্প(ভিডিও) –
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথ অনুষ্ঠানে মনোযোগ দিয়ে কোরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনেছেন। শপথ গ্রহণের পর সর্বধর্মীয় প্রার্থনা সভায় এ তিলাওয়াত করা হয়।
কোরআন তিলাওয়াত করেন ডালাস মুসলিম সোসাইটির এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ও ভার্জিনিয়ার বড় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মাদ মাজিদ।
সেখানে তিলাওয়াত করা আয়াতগুলো ছিল- সূরা হুজরাতের ১৩ নম্বর আয়াত ও সূরা রুম-এর ২২ নম্বর আয়াত। যাদের অর্থ যথাক্রমে-
‘হে মানব সম্প্রদায়, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি; যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।’
এবং ‘তাঁর আরো এক নিদর্শন হচ্ছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।’
ইলমফিড.কমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশ, আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে মুসলিম প্রতিনিধি মোহাম্মাদ মাজিদসহ বিভিন্ন ধর্মের ২৬ জন ধর্মীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনকালীন সময় থেকে শুরু করে অভিষেক অনুষ্ঠান পর্যন্ত মুসলমানসহ অন্যান্যদের সম্পর্কে যে সব বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করেছে, সে সব বক্তব্য-বিবৃতির বিবেচনায় কুরআনের উল্লেখিত আয়াত দুটিকে নির্বাচন করেন ইমাম মোহাম্মদ মাজিদ।
এই আয়াতের মাধ্যমে তিনি এ বার্তা জানিয়ে দেন যে, সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও দলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র প্রধানদের দায়িত্ব আরো বেশি। তাই কুরআনের আয়াতদ্বয় ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিকভাবে ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধে শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে একটা ম্যাসেজও বটে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় দেয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতি ঘোষণা করেন।
ট্রাম্পের এ নীতির মাধ্যমে জাতি-বর্ণ বৈচিত্রের দেশ আমেরিকা শেতাঙ্গদের একচেটিয়ে দাপট তৈরির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এছাড়া তার একপেশে নীতিকে বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছে।
এমন সন্ধিক্ষণে ট্রাম্পকে বৈচিত্র বিষয়ক কুরআনের দুটি আয়াত শোনালেন ইমাম মাগিদ। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কৌশলী বার্তা দেয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে।