সব

নড়াইলের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও এক দফা বৃদ্ধি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 10th June 2017at 10:38 pm
37 Views

10

উজ্জ্বল রায়ঃ নড়াইলের রূপগঞ্জ বড় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম রোজার ভেতর আরও এক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে ডাল ছোলা তেল ও ফার্মের মুরগির দাম। অন্যদিকে গত এ সপ্তাহে স্থির রয়েছে চাল আলু পিঁয়াজ আদা রসুন ডিম মাছ-মাংসের দাম। নড়াইলের বড় রূপগঞ্জ বাজারে প্রথম রোজায় দেশী চিকন দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকা, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। আমদানিকৃত অস্ট্রেলিয়ার মোটা দানার মসুর ডালের কেজি প্রথম রোজায় বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা, এ দু সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হতে দেখা গেছে ৮০ টাকায়। মুগের ডাল প্রথম রোজায় বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকা, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ টাকা। প্রথম রোজায় দেশী ছোলা বিক্রি হয়েছিল ৮২ টাকা, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল প্রথম রোজায় বিক্রি হয়েছিল ৮৮ টাকা কেজি, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে গতকাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সুপার তেল প্রথম রোজায় বিক্রি েিহছল ৮২ টাকা কেজি, গতকাল কেজিতে আরও ৩ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। রোজার প্রথম দিন ফার্মের ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৪৫ টাকা, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গতকাল ১৫০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের লেয়ার মুরগি প্রথম রোজায় বিক্রি হয়েছিল ১৮০/১৯০ টাকা কেজি, গত দু সপ্তাহে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে গতকাল বাজারে ২২০/২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে বিদেশ থেকে চাল আমদানি হওয়ায় সপ্তাহব্যাপী রূপগঞ্জ বাজারে চালের দাম স্থির রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে চালের দাম আর বাড়েনি। শনিবার রূপগঞ্জ বাজারে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে মোটা চাল রতœার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭/৩৮ টাকা, অবশ্য ভালোমানের রতœার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

কাজল লতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, সুবল লতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৬/৪৮ টাকা, বাংলামতির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২/৫৪ টাকা। গত দু সপ্তাহ ধরে দাম স্থির রয়েছে আলু পিঁয়াজ রসুন আদা ও শুকনো ঝালের। শনিবার রূপগঞ্জ বাজারে কার্ডিনাল আলুর কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮ টাকা, ডায়মন্ড আলুর কেজি বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা, দেশী পিঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা আমদানিকৃত ভারতীয় পিঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮ টাকা, দেশী রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা, দেশী আদার কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, আমদানিকৃত আদার কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা আর শুকনো ঝালের কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। বাজারে মুরগির ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

শনিবার রূপগঞ্জ বাজারে ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ২৬ টাকা, লাল ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা, দেশী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা আর লাল ডিমের বক্স (এক ডজন) বিক্রি নড়াইলের রূপগঞ্জ বাজারে হয়েছে ৮০ টাকা। এদিকে রূপগঞ্জ মাছ বাজারে প্রতিদিনই কমবেশি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। তাজা ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০০/১৬০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৯০০/১০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা। আর হিমায়িত ইলিশ ৩টায় কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা। মাংসের দামও এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। নড়াইলের শনিবার রূপগঞ্জ বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৭০/৪৮০ টাকা, খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা আর ছাগীর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা।


সর্বশেষ খবর