অনিশ্চয়তায় ১৪ হাজার হজযাত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ ভিসা পেলেও ফ্লাইট জটিলতায় অনেক হাজযাত্রীর যাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি সরকার এবার ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশী বাংলাদেশী হজযাত্রীর ভিসা অনুমোদন করেছে।
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের বরাতে মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া অনুবিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, অনলাইনে এসব অনুমোদন পাওয়া গেছে। অনলাইন অনুমোদনের পর এখন ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস পার্সপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্পিং করবে। এটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় এখন পর্যন্ত বিমানের ২৫টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিমান ১৩-১৪ হাজার যাত্রী কম পরিবহন করেছে (ক্যাপাসিটি লস করেছে)। তারা শেষ সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের চাপে রয়েছে। সেটা কাটাতে ২৭ ও ২৮ আগস্ট দু’দিন অতিরিক্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে ঢাকা।
২৮ আগস্ট পর্যন্ত সাউদীয়া এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, একই সময় পর্যন্ত বিমানকে ফ্লাইট পরিচালনার সূযোগ দিলে অতিরিক্ত প্রায় ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। বাকী থাকবে ৩-৪ হাজার। সরকারের তরফে অতিরিক্ত ৪ হাজার হজযাত্রী পরিবহনে সাউদীয়া এয়ারলাইন্সকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সৌদি আরব কিংবা সাউদীয়া এয়ারলাইন্সের তরফে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাইনি।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ১৭ আগস্ট ডেডলাইনের মধ্যে যে সব হজযাত্রীর আবেদন অনলাইনে জমা পড়েছে তাদের সবার ভিসার অনুমোদন হয়েছে।
হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮। তবে গতকাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কত আবেদন পড়েছে সেই সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি সেগুনবাগিচার ওই কর্মকর্তা।
অতীতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ১ লাখ ২৫ হাজার আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর আর বাকী থাকে প্রায় ২ হাজার। এমন সংখ্যক হজযাত্রী হয়ত নিজে থেকে আবেদন করেন না কিংবা এজেন্সির ভুলে তাদের আবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা হয় না। এবার ঠিক ক’জনের বেলায় তা ঘটেছে তা দু’এক দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হবে।
হজযাত্রী পরিবহন বিষয়ে তিনি বলেন, ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। নির্ধারিত স্লটও রয়েছে। ২৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হলেও প্রথম দিকে বিভিন্ন জটিলতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত বিমানের ২৫টি এবং সাউদীয়ার ৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, এতে হিসাবের চেয়ে ১৩-১৪ হাজার যাত্রী কম পরিবহন করতে পেরেছে বিমান। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত আর কোন ফ্লাইট বাতিল না হলেও এই ১৩-১৪ হাজার হজযাত্রী থেকে যাবেন। নতুন কোন ফ্লাইট বাতিল হলে অনিশ্চয়তায় থাকা যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়বে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২৭ এবং ২৮ আগস্ট দু’দিন অতিরিক্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেলে কিছুটা সঙ্কট কাটবে। সরকারের অনুরোধে সাউদীয়া এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত ৪ হাজার যাত্রী পরিবহন করলে আর কোন সঙ্কটই থাকবে না বলে আশা ওই কর্মকর্তার।