আরও দু’দিন অতিরিক্ত হজ ফ্লাইটের অনুমতি মিলল
স্টাফ রিপোর্টারঃ অতিরিক্ত আরও দু’দিন হজফ্লাইট চালাতে বাংলাদেশ বিমানকে অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। ২৭ ও ২৮ আগস্ট ১২টি স্লটে বাড়তি ওইসব ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিল ঢাকা। এ নিয়ে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছিল গত এক সপ্তাহ ধরে।
আজ শনিবার বিকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক অতিরিক্ত ফ্লাইটের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেন।
পূর্ব-নির্ধারিত সময়ের পর যাত্রী প্রতি এক হাজার রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২ হাজার টাকা) বাড়তি চার্জ পরিশোধে সৌদি সরকারের একটি বিধান রয়েছে। বাংলাদেশী কূটনীতিকরা বিমানের জন্য সেটি মওকুফের চেষ্টা করছিলেন।
চার্জ মওকুফে সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিকরা গত ক’দিনে দেশটির স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ গত বুধবার সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সাউদ বিন নয়েফকে একটি চিঠি লিখেন।
অনানুষ্ঠানিক সেই চিঠিতে (নোটভারবাল) চার্জের পরিমাণ উল্লেখ না করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সব ধরনের বাড়তি চার্জ মওকুফে সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদয় সহায়তা কামনা করেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম অল্প আগে মানবজমিনকে বলেন, কোন ধরণের বাড়তি চার্জ ছাড়াই বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে উপ-রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব অনেক কিছুতেই বাংলাদেশকে ছাড় দেয়। এতেও তারা ছাড় দিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুরু থেকে একে একে ২৫টি হজ ফ্লাইট বাতিলের কারণে হজযাত্রী পরিবহনে বেশ গ্যাড়াকলে পড়ে যায় বিমান। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতে আজই বিমানের শেষ ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানের ২৫টি ফ্লাইট পুরোপুরি বাতিলের কারণে যে ক্যাপাসিটি লস হয়েছে এবং যেসব হজযাত্রী আটকা পড়েছেন তাদের জেদ্দা পৌছাতে ২৭ ও ২৮ আগস্ট বিমানের অতিরিক্ত দু’দিন ফ্লাইট পরিচালনা ছাড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এখন বাড়তি ফ্লাইট ও ফ্লিটের অনুমতি পাওয়ার আর কোন জটিলতা হবে না আশা করে এক কর্মকর্তা বলেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা থেকে তাদের নির্ধারিত হজফ্লাইট পরিচালনা করবে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাউদীয়ার ৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
তাতে তাদেরও কিছু যাত্রী আটকা পড়েছেন। বাংলাদশ চাইছে সেই যাত্রীসহ অতিরিক্ত আরও কিছু যাত্রীকে সাউদীয়ায় পাঠাতে। সাউদীয়া এয়ারলাইন্সে অতিরিক্ত কিছু যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হলে হজযাত্রী পরিবহনে আর কোন সঙ্কটই হবে না বলে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী ঢাকার কূটনীতিক ও হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন বাংলাদেশী হজে যাওয়ার নির্ধারিত কোটা থাকলেও ৯৯৭জন নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট জমা না দেয়ায় তারা বাদ পড়ছেন।
যদিও নির্ধারিত কোটার চেয়ে বাড়তি অর্থাৎ ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৬ জনের ভিসার আগাম অনুমোদন দিয়েছিল সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে ৫ভাগের রিপ্লেসমেন্ট সিস্টেমে ভিসা নেয়ার সুযোগ ছিল।