আজও পালিয়ে ১৪২ রোহিঙ্গা এল বাংলাদেশে
কক্সবাজার করেস্পন্ডেন্টঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আরও ১৪২ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
আজ (শুক্রবার) বিভিন্ন সময়ে ৪৭টি পরিবারের ওই সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফে আসে। তাদেরকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত) টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ১২৭ পরিবারের ৪১৭ জন রোহিঙ্গাকে নয়াপাড়া শরণার্থীশিবিরে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আজ (শুক্রবার) বিকেল পর্যন্ত ৪৭টি পরিবারের ১৪২ জন রোহিঙ্গাকে প্রথমে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ত্রাণকেন্দ্রে নেওয়া হয়।
এরপর মানবিক সহায়তা ও প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, সুজি, চিনি, তেল, লবণ, ত্রিপল ও একটি করে কম্বল দিয়ে বিকেলে তাদের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরও কিছুতেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না। কোনো না কোনো সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু আগের তুলনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অনেকটা কমেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ’সহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯৭৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নেয় আরও ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে।