সব

ছাত্র খারাপ ছিলাম কিন্তু নকল করি নাইঃ রাষ্ট্রপতি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Wednesday 7th February 2018at 9:12 am
43 Views

স্টাফ রিপোর্টারঃ নিজের ছাত্রজীবনে পরীক্ষা হলের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ছাত্র খারাপ ছিলাম। কিন্তু গ্যারান্টি দিয়া বলতে পারি, ছাত্রজীবনে নকল করি নাই। না পারলে ফেল করবো। কিন্তু চুরি করে পাস করবো! এটা হতে পারে না।’

গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন আবদুল হামিদ।

স্বভাবসুলভ হাস্যরস আর কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক টানে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ছাত্র খারাপ হইলেও নেতাগিরি করা যায়। ওই নেতাগিরি করতে গিয়া ভাবছি, এ্যারে যদি জিজ্ঞাসা করি, তাইলে বাইরে গিয়া বলবো হামিদ সাব জিগাইছে আমারে। এটা বললে আমি মনে করছি প্রেস্টিজ নিয়া টানাটানি পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার হলে পাশের কোনো ছাত্রকে জিজ্ঞেস করি নাই। এইডা বুঝতাছি না, না বুঝলে না বুঝব, যা বুঝছি তা লেইখ্যা দিয়া আইয়া পড়ছি।’

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হতে যাওয়া আবদুল হামিদ বলেন, অবশ্য রাষ্ট্রপতি হইছি কোন কপাল গুণে, এটা বুঝি না। অতো বিদ্যার দরকার পড়ে না বলে মনে হয় হয়ে গেছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা আমার চেয়ে বেশি শিক্ষিত। ভালো লেখাপড়া জানেন। আমি ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলাম, আপনাদের মতো টিচার হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সার্টিফিকেট বাণিজ্য’ হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর কুফলটা কী, সেটা আমার চেয়ে ভালো বোঝেন।

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত আবদুল হামিদ তার অনুজ্জ্বল পরীক্ষা জীবনের কথা নিজেই বলেন। আবদুল হামিদ ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং আইএ পরীক্ষায় এক বিষয়ে রেফার্ডে পাস করেছিলেন।

মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ নিকলী জিসি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ ও বিএ ডিগ্রি এবং ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

আবদুল হামিদ-এর রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয় ১৯৫৯ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে কারারুদ্ধ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৬৫ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এবং ১৯৬৬-৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ১৯৬৮ সালে তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।


সর্বশেষ খবর