সব

সাব ইন্সপেক্টর পদে তিনটি ধাপেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে থাকে

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Monday 12th February 2018at 10:12 pm
FILED AS: মতামত
54 Views

মো.ইমরান হোসেনঃ সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদের জন্য যারা শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তাদের জন্য কিছু কথা । আগামী ১৩-১৫ ফেব্রেুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৭ তম বহিরাগত ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র)পদের শারীরিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে শারীরিক সক্ষমতার বিষয়গুলোই দেখা হয়ে থাকে। জেলা ও রেঞ্জ ভিত্তিক এ পরীক্ষায় কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। তবে মোটামুটি নিচের এই তিনটি ধাপেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

প্রথম ধাপ: প্রথমেই প্রার্থীদের সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে শারীরিক উচ্চতা পরিমাপ এবং ওজন পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ছেলেদের ক্ষেত্রে হাফ প্যান্ট ও খালি গায়ে এবং মেয়েদের স্বাভাবিক পোষাকেই এ পরীক্ষা করা হবে । এসময় প্রত্যেকের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন দেখা হয়। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম বা বেশী হলে বাদ পড়বেন। আর উচ্চতার ক্ষেত্রে একটি কথা বলে রাখি তা হল পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মেয়েদের ৫ ফিট ২ ইঞ্চির কথা বল হয়েছে। তবে প্রকৃত পক্ষে যে জিনিসটা হয় তা হল বাইরের মাপের সাথে এখানকার পরীক্ষার মাপটা মেলে না। বাইরে অনেকে পুরোপুরি ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হলেও বাদ পড়ে। এখানকার উচ্চতা পরিমাপের পরীক্ষার জন্য একটিু বেশী উচ্চতা লাগবে , পুরোপুরি ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির সমান হলে বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশী ।

এই ধাপে আরো একটি বিষয় দেখা হয়, তা হল সোজা দাড়ানো অবস্থায় যাদের দুই হাটু স্পর্শ করে তাদেরকেও বাদ দেয়া হয়।

দ্বিতীয় ধাপ: উচ্চতা ও ওজনে উক্তীর্ণ প্রার্থীদের এই ধাপে দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আমার জেলার ক্ষেত্রে সেসময় যা হয়েছিল তা হল প্রতি গ্রুপে প্রায় প্রতি ১০ জন করে দৌড়ে ৩/৪ জন করে রাখা হয়েছিল, বাকিদের বাদ দেয়া হয়েছিল।তবে দৌড়ে বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে রেঞ্জ ও জেলা ভেদে ভিন্নতা দেখা যায়, খুব কমই বাদ দেয়া হয়। এই ধাপে অনেক সময় লং জাম্পের পরীক্ষা নেয়া হয়।

তৃতীয় ধাপ: এই ধাপে দৌড়ে উক্তীর্ণ প্রার্থীদের রশি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। অনেক সময় মাঝামাঝি পর্যন্ত উঠলেও নেয়া হয়। একেবারেই যারা উঠতে পারে না তাদের বাদ দেয়া হয়।

মোটামুটি এই তিন ধাপে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এরপর উক্তীর্ণ প্রাথীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল কাগজপত্র দেখিয়ে ৩ টাকার মূল্যের লিখিত পরীক্ষার আবেদন ফরম গ্রহণ করতে হয়।আবেদন পত্রের সাথে বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের সত্যায়িত কপি জমা ও ব্যাংকে টাকা জমার ট্রেজারি চালানের মূল কপি সহ সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে পরেরদিন জমা দিতে হয়।

একটি বিষয় বলে রাখি যাদের ইতোমধ্যে স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু মূল সনদপত্র পান নাই তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রভিশনাল সনদপত্র দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে এ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে কেউ পরীক্ষা দিতে পারবেন না। সেই সাথে কম্পিউটার এর সার্টিফিকেট শারীরিক পরীক্ষায় প্রদর্শন করা আবশ্যক। পূর্বে দেখা গেছে এটি না থাকার কারণে শারীরিক সকল পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হওয়ার পরও বাদ দেয়া হয়েছে।

এই শারীরিক পরীক্ষা অনেকটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। আর চাকুরীটা যেহেতু আপনার রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবে, তাই পরীক্ষার দিন হাজার হাজার পরীক্ষার্থী দেখে হতাশ না হয়ে বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটি ধাপ অগ্রসর হোন। আপনার ভাগ্যে থাকলে চাকুরীটা আপনার হবেই। গত কয়েকটি ব্যাচে অনেক মেধাবীরা এই পেশায় আসছেন, নিজেদের মেধা ও পরিশ্রমের দ্বারা কোন লবিং ও টাকা ছাড়াই। তাই কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ও লবিং ছাড়াই সাহসিকতা ও ধৈর্য্যের সাথে আগ্রসর হোন সাফল্য আসবেই।

পরিশেষে আপনাদের সাফল্য কামনা করে শেষ করছি।

মো.ইমরান হোসেন
প্রবেশনার সাব ইন্সপেক্টর
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ


সর্বশেষ খবর