বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়ের সময়, আবেগে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়ের সময় শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জয়সূচক রানের পর হাত নেড়ে বাংলাদেশে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানান তিনি। ওই সময় আবেগে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। তখন পাশেই ছিলেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ।
ক্রীড়াপ্রেমী শেখ হাসিনার বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলার প্রথম ওভার চলার সময় মাঠে ঢুকেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের অবস্থা বেশ নড়বড়ে দেখায়। মাত্র ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই চারটি উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান । শুরুতে দলের পাওয়া সাফল্যে প্রধানমন্ত্রীকে অনেকটা হাস্যজ্জ্বোলও দেখা যায়।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৯। পরে ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটাও করেছিল আগ্রাসী ভঙ্গিতে। মোহাম্মদ আমিরের বলে দারুণ এক ছয় মেরে লম্বা ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শেষপর্যন্ত অবশ্য খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। আউট হয়ে গেছেন ৭ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাব্বির। নবম ওভারে সাব্বিরকে বোল্ড করেছেন আফ্রিদি। ১৪ রান করে ফিরেছেন সাব্বির। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে আবার ৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য।
১৪তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে দারুণ এক ডেভিভারিতে সৌম্যকে বোল্ড করেছেন আমির। ৪৮ রান করে ফিরেছেন সৌম্য। পরের ওভারে মুশফিকও ১২ রান করে আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপের মুখেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে আমিরের দারুণ ইয়র্কারে সাকিবও বোল্ড হয়ে গেলে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য।
কিন্তু জয়ের এত কাছে এসে আর আক্ষেপ করতে চাননি মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি। ষষ্ঠ উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এই ২৭ রান তাঁরা করেছেন মাত্র ১১ বল খেলে। আজ জয় পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে যাচ্ছে লাল-সবুজের দল।
বাংলাদেশ দলের জয়ের সময় পতাকা ও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ। এক সময় মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাঙালির স্বাধীনতার মাস মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই খেলা নিয়ে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিল ব্যাটে-বলে আরেকটি যুদ্ধজয়ের প্রত্যাশা, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নেয় ।