নববর্ষের অনুষ্ঠান ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
মহা-পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও র্যাবের মহা-পরিচালক বেনজীর আহম্মেদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’সহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত করা যাবে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানোর কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রাজধানীর কূটনৈতিক জোন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন এবং হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও দু’টি শোভাযাত্রা বের হবে। এইগুলোরও নিরাপত্তা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পরা যাবে না। তবে তা হাতে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দেবেন। পহেলা বৈশাখের র্যালিতে বা অন্য স্থানে ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান চলাকালে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল কাজ করবে।
পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান রমনার বটমূলে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এদিন গোটা ঢাকা শহর ও বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানস্থল সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। নববর্ষ অনুষ্ঠানে আসার সময় সন্দেহজনক কোনো সরঞ্জাম, বস্তু বা ব্যাগ এবং ম্যাটালিক্যাল কোনো বস্তু বহন না করার জন্য দর্শনার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।