সব

আসামের বাংলাদেশ সীমান্তে ‘স্মার্ট বেড়ার’ কার্যক্রম শুরু করলো ভারত

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 13th April 2018at 11:09 am
125 Views

আমারবাংলা ডেস্কঃ ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় স্পর্শকাতর জায়গাগুলোর নিরাপত্তায় যে ‘স্মার্ট বেড়া’তৈরি করা হচ্ছে, আসামে বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর তার প্রথম পাইলট প্রকল্পটি কার্যকর করা হয়েছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দিতে মোদি সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তারই অংশ এই স্মার্ট বেড়া। এটাকে বলা হচ্ছে কম্প্রিহেনসিভ ইনটিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইবিএমএস)।

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, ব্রহ্মপুত্র নদী বরাবর ধুবরি এলাকায় ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে নজরদারী যন্ত্রপাতি এবং অ্যালার্ম সিস্টেমের সরঞ্জামাদির প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।

শর্মা বলেন, “আসামের ধুবড়ি এলাকায় সিআইবিএমএস পাইলট প্রকল্পের কাজ সম্প্রতি শুরু করা হয়েছে। এটা নদীপ্রবণ সীমান্ত এলাকা। তাই এখানে কোন বেড়া নির্মাণ করা সম্ভব নয়।”

বর্তমানে বিএসএফ সেনারা স্পিডবোটে এই অংশটি পাহারা দিয়ে থাকে। প্রমত্তা নদীর গতি বদলের কারণে এই এলাকাটি অবৈধ অভিবাসী এবং গরু পাচারের জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়।

বর্ডার পোস্টের মতো কোন স্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলা এখানে সম্ভব নয়।

ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল বর্ডারেও চলতি মাসে এ ধরনের একটি প্রকল্প শুরু করা হবে। জম্মুর দুটি জায়গায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে এটা চালু করা হবে।

তিনি বলেন, ধুবড়িতে যে যন্ত্রপাতিগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে, এগুলো হলো নজরদারি এবং সতর্ক সঙ্কেত জানানোর যন্ত্রপাতি। তবে এ সব যন্ত্রপাতির বিশেষত্ব কি, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা জানান তিনি।

বিএসএফ প্রধান বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তের ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাকে ‘স্মার্ট বেড়া প্রকল্পের’অধীনে নিয়ে আসা হবে। এসব জায়গা ইনফ্রারেড ক্যামেরা ও রাডার ব্যাবহার করা হবে নজরদারির জন্য।

তিনি বলেন, “এমনকি পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত এলাকার যে সব জায়গায় বেড়া রয়েছে, সেখানেও আমরা সিআইবিএমএস স্থাপন করতে পারি। কারণ আমরা দ্বিগুণ নিশ্চিত হতে চাই। উভয় সীমান্তের প্রায় ২০০০ কিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে কোন বেড়া নেই এবং যে জায়গাগুলো স্পর্শকাতর। আগামী দিনগুলোতে এই জায়গাগুলোকে সিআইবিএমএসের অধীনে নিয়ে আসা হবে।”

তিনি জানান, “এই পুরো ২০০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় এই প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে।”

স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় বাহিনীকে সরবরাহ করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টা তা নয়।

তিনি বলেন, “না, বিষয়টা তা নয়। সব প্রযুক্তিই আমাদের কাছে রয়েছে। সমস্যা হলো এগুলোর সবগুলো সমন্বিতভাবে স্থাপন করা। এগুলো সবগুলিকে সমন্বিত করা এবং সবগুলোকে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা এবং একটা কমন ফিডের মাধ্যমে বর্ডার পোস্টে সেটা সরবরাহ করা। সেটাই হলো বড় চ্যালেঞ্জ।”

শর্মা আরও বলেন, এই সবগুলো যন্ত্রপাতিকে একসাথে চালানোর মতো সফটওয়্যার যখন তৈরি হয়ে যাবে, তখন বর্ডার পোস্টের বিএসএফ জওয়ানরা সেখানকার ছবি দেখতে পাবেন যেটা একটি মনিটরে দেখানো হবে। আর যদি কোন সমস্যা দেখা যায়, তাহলে এটা অ্যালার্ম দেবে।

ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “আর এই সময়টাতেই আমার সেনারা ব্যবস্থা নেবে।”

সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই যে বহু-কোটি রুপির প্রকল্প, সেখানে যন্ত্রপাতিগুলো কোথা থেকে আসছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শর্মা বলেন, এগুলো সবই দেশের বাইরে তৈরি, তবে সহজলভ্য।

শর্মা বলেন, “এখানে অসাধারণ বা ভয় পাওয়ার মতো কোন সরঞ্জাম নেই। প্রযুক্তিগুলো মূলত দেশের বাইরে তৈরি তবে ভারত দ্রুত এগুলো হস্তগত করছে। তবে ভারতের মধ্যেও এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।” সাউথ এশিয়ান মনিটর।


সর্বশেষ খবর