কপালে যাতে টিপ পড়তে না পারে সে জন্যই : গাজীপুরে ‘গরম সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে’ গ্রহবধূকে নির্যাতন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ কপালে যাতে কোন দিন টিপ পড়তে না পারে সে জন্যই দেয়া হয় সিরিঞ্জ গরম করে তাঁর কপালে আগুনের ছেঁকা। স্বামীর এমন নির্যাতনের খবর যাতে বাইরে না যায় সেজন্য ঘরেই আটকে রাখা হতো তাকে। গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকীয়ার সন্দেহে প্রায় এক মাস আটকে রেখে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে রহিমা আক্তার (২৫) সাংবাদিকদের কাছে ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
তার মাথা, উরু ও নখের ভেতর গরম সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করতেন স্বামী জহিরুল ইসলাম।
১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধারের পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নয় বছর আগে সব্বত আলীর ছেলে জহিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার জাঙ্গাইল গ্রামের মিয়া আলীর মেয়ে রহিমাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।
রহিমা জানান, জহিরুল এক আত্মীয়ের সাথে পরকীয়া সন্দেহে তাকে নির্যাতন করে আসছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেরেক গরম করেও ছ্যাঁকা দেওয়া হত।
ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি নির্যাতন সহ্য করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে দৌড়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
অভিযুক্ত জহিরুল দাবি করেন, তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এতে তার স্ত্রী কপালে আঘাত পেয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধূকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নব আক্তার জানান, রহিমার কপালে গরম ধাতব বস্তুর ছ্যাঁকা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।