সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরিয়া মাহফিল রোববার
আমারবাংলা ডেস্কঃ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের কওমিপন্থী ৬টি বোর্ড নিয়ে গঠিত আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশের (হাইয়াতুল উলিয়া) শুকরিয়া মাহফিল হবে আগামীকাল রোববার।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৫ লাখ কওমি আলেম ও শিক্ষার্থীর সমাগম হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবেন কওমি আলেমরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১০টা থেকে শুকরিয়া মাহফিল শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় মাহফিলস্থলে উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে সকাল ৯টায় হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি তার নিজ কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছাবেন।
এছাড়া ঢাকার বাইরে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইয়াতুল উলইয়ার ও ৬টি বোর্ডের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় অবস্থান করছে।
মাহফিল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ১৭ সদস্যবিশিষ্ট মাহফিল কমিটির সদস্যরা শুকরিয়া মাহফিলে সর্বাধিক লোক সমাগমের লক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেফাকের এক শীর্ষ আলেম জানান, শনিবার রাতে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজারের মতো আলেম-ওলামা দুই শতাধিক বাসযোগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরিয়া মাহফিলের উদ্দেশে রওনা হবে। এদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্যরা। এক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয় বহন করছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্য।
এ বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস মোবাইল ফোনে জানান, শুকরিয়া মাহফিলে আগত আলেম-ওলামারা মাহফিলে যোগদান করবেন। তবে লোক সমাগমের ব্যাপারে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। হেফাজত আমিরের উপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ।
এদিকে কওমি মাদ্রাসার কয়েক লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে ওইদিন ভোর হতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবে। তাই অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা দিয়ে ভারী-হালকা যানবাহনসহ যাতায়াত না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
পাশাপাশি ওইদিন জেএসসি পরীক্ষা থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছাকাছি কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিদের ট্রাফিক ব্যবস্থা মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। মাহফিলকে কেন্দ্র করে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মার্স্টাস ডিগ্রি সমমানের স্বীকৃতি দেয়। এরপর ২৭ অক্টোবর বেফাক কার্যালয়ে শুকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ঘোষণা দেন হাইয়াতুল উলিয়ার নেতারা।
যুগান্তর