ভাংচুরে জড়িত হেলমেট পরা লোকজন ছাত্রলীগের: ফখরুল
স্টাফ রির্পোটারঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যোগসাজসে সরকার পুলিশকে দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে আগত দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্পুর্ণ বিনা উসকানিতে মিছিলের মধ্যে ঢুকে পুলিশ হামলা করেছে। একই সঙ্গে শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন বানচালকারী ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী এসে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং আগুন দিয়েছে।’
আজ বুধবার রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর হেলমেট পরে আসার কথা নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা দুদিন ধরে উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে ফরম নিতে এসেছেন। যেটা ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে আবার আগের মতো আমাদের সারা দেশের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছিলাম, সেটা যদি আমরা করতে না পারি এবং নির্বাচনে থাকতে না পারি তাহলে সেজন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার দায়ী থাকবে।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, রাতে যারা বিএনপি অফিস থেকে বেরিয়েছে তাঁদের ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বগুড়ার সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, গাইবান্ধা জেলার সাবেক সভাপতি আনিুজ্জামান, খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খানসহ ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় নির্বাচনে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হব।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।