যুবরাজ সালমানই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন: সিআইএ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানই দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
শুক্রবার মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’- এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, মোহাম্মাদ বিন সালমানই খাশোগিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।
একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং এ যাবত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সিআইএ এ সিদ্ধান্তে পৌছেছে বলেও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে আমেরিকায় বসবাসরত খাশোগি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানায়, সিআইএ যেসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছোট ভাই ও আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে খাশোগির টেলিফোনালাপ।
ওই ফোনালাপে খালিদ খাশোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়ে সৌদি কনস্যুলেট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন এবং এই নিশ্চয়তা দেন যে, তার কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে, সেখানে গেলে খাশোগিকে হত্যা করা হবে এমনটি খালিদ আগে থেকেই জানতো কীনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি সিআইএ।
কিন্তু খাশোগি সেখানে গিয়ে নিহত হন এবং এর দু’দিন পরই খালিদ বিন সালমান আমেরিকা থেকে তড়িঘড়ি করে সৌদি আরবে ফিরে যান। তাকে আর ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠানো হয়নি বরং অন্য কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে করা একটি ফোনকলও আমলে নিয়েছে সিআইএ। ওই ফোনকলে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘাতক দলের সদস্য মাহের মুতরেব জানান, অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
যুবরাজ সালমান কেন খাশোগিকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে সিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্স সালমান খাশোগিকে একজন বিপদজনক ব্যক্তি হিসেবে মনে করতেন এবং খাশোগির সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করতেন।
তবে খাশোগির লাশ কোথায় রাখা হয়েছে বা লাশের শেষ পরিণতি কী হয়েছে সে ব্যাপারে সিআইএ এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারেনি।
যুবরাজ সালমানই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন: সিআইএ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানই দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
শুক্রবার মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’- এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, মোহাম্মাদ বিন সালমানই খাশোগিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।
একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং এ যাবত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সিআইএ এ সিদ্ধান্তে পৌছেছে বলেও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে আমেরিকায় বসবাসরত খাশোগি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানায়, সিআইএ যেসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছোট ভাই ও আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে খাশোগির টেলিফোনালাপ।
ওই ফোনালাপে খালিদ খাশোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়ে সৌদি কনস্যুলেট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন এবং এই নিশ্চয়তা দেন যে, তার কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে, সেখানে গেলে খাশোগিকে হত্যা করা হবে এমনটি খালিদ আগে থেকেই জানতো কীনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি সিআইএ।
কিন্তু খাশোগি সেখানে গিয়ে নিহত হন এবং এর দু’দিন পরই খালিদ বিন সালমান আমেরিকা থেকে তড়িঘড়ি করে সৌদি আরবে ফিরে যান। তাকে আর ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠানো হয়নি বরং অন্য কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে করা একটি ফোনকলও আমলে নিয়েছে সিআইএ। ওই ফোনকলে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘাতক দলের সদস্য মাহের মুতরেব জানান, অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
যুবরাজ সালমান কেন খাশোগিকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে সিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্স সালমান খাশোগিকে একজন বিপদজনক ব্যক্তি হিসেবে মনে করতেন এবং খাশোগির সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করতেন।
তবে খাশোগির লাশ কোথায় রাখা হয়েছে বা লাশের শেষ পরিণতি কী হয়েছে সে ব্যাপারে সিআইএ এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারেনি।