শিক্ষার কথা, স্বপ্নের কথা
মোমিন মেহেদীঃ সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। কথাটি এখন আর উচ্চারিতত হয় না। তাতে থেমে নেই শিক্ষার জন্য নিবেদিত থাকা দেশগুলো, থেমে নেই কেউ। শুধু ঝরে পড়েছে শিক্ষার আলো থেকে কোটি শিশু-কিশোর গত ২০ বছরে। তবু বড় বড় কথা চলে লোভি-লম্পটদের মুখে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ, নয়াপল্টনে বিএনপি ও কাকরাইলে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তদের চিঠি দেয়া হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন পরিবর্তন আসেনি। তবে এবার আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন বেশকিছু নতুন ও তরুণ।
অসংখ্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নড়াইল-২ এর নৌকার মাঝি হিসেবে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ওয়ার্কাস পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান। মাগুরা-১ আসনেও এবার পরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে এ টি এম ?আব্দুল ওয়াহাবের পরিবর্তে দলটি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখরের ওপর আস্থা রেখেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। টাঙ্গাইল-৩ আসনে সংসদ সদস্য আনামুল রানা খানের পরিবর্তে এবার নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার বাবা আতাউর রহমান খানকে। আনামুল রহমান খান রানা বর্তমানে হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। চট্টবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছে ঢাকা-১৩ আসনে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিবর্তে এই আসনে উত্তর ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানকে বেছে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। শরীয়তপুর-১ আসনেও এসেছে নৌকার নতুন মুখ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেলের পরিবর্তে ইকবাল হোসেন অপুকে মনোনীত করা হয়েছে। শাহীন আক্তার চৌধুরী কক্সবাজার-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করবেন। তিনি বহুল আলোচিত-সমালোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী এমপি বদির স্ত্রী। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করবেন বাংলাদেশের পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ।
যখন সারাদেশে সংসদ সদস্য হওয়ার যুদ্ধ চলছে তখন নির্মমতার অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে অসংখ্য মানুষের স্বপ্নজীবন। যে জীবনে নতুন হাসি ফোটানোর দায়িত্ব ছিলো এমপিদের-মন্ত্রীদের-সচিব-আমলাদেও; সে দায়িত্ব পালনে নিবে;িত না হওয়ায় আজো ঢাকার দোহারের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নারিশা জোয়ার, কৃষ্ণদেবপুরসহ কয়েকটি চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত আলোর জীবন থেকে। নেই স্কুল-এ অধ্যায়নের সুযোগও। তবু বলা হচ্ছে – উন্নয়নে ভাসছে বাংলাদেশ। কতটা সত্য? তার প্রমাণের জন্য নুন প্রজন্মেও প্রতিনিধি হিসেবে বরাবরই যেমন উন্মুখ ছিলাম, তেমন উন্মুখ থেকে জানতে গিয়ে দেখেছি- নির্মম অন্ধকাওে কিভাবে কাটে অত্র এলাকার শিশু-কিশোরদের দিন। দেখেছি- কিছু সাহসী শিক্ষার্থীর এগিয়ে চলা আর বাকি ছোট্ট ছোট্ট ফুলের ঝরে পড়া। সাহসী শিক্ষার্থীদের ঝড়-বৃষ্টি আর প্রমত্তা ঢেউয়ের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইঞ্জিনচালিত নৌকাই একমাত্র ভরসা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্কুলে যেতে ভয় পায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা। আবার নদী পারাপারে বাড়তি খরচের বোঝাও আছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। এই শিক্ষার্থীদের কথা কেউ ভাবে না। ভাবে বরাবরের মত জিওে কথা, নিচের পরিবারের কথা, নিজের দলের কথা আর নিজের আখের-এর কথা। যে কারনে নিঃশ্ব প্রায় এই এলাকায় আজো আসেনি স্কুল নামক আলোঘর। বরং বলা হচ্ছে এই শিক্ষার্থীদের মাথায় রেখেই সরকারি অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে নৌযান ‘শিক্ষাতরী’। কিন্তু সেই তরী দিয়ে কতটা আলো আসে শিক্ষা বঞ্চিত অত্র এলাকায়? উত্তর জানতে গিয়ে দেখা যায়- ঢাকার দোহারের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নারিশা জোয়ার, কৃষ্ণদেবপুরসহ কয়েকটি চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নদীপথে ইঞ্জিনচালিত এ নৌযানে চরে স্কুল-কলেজে যাতায়াতের কথা বলা হলেও মাসের অধিকাংশ দিনই বন্ধ থাকে, নষ্ট থাকে। পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দোহারের মূল ভূখন্ড থেকে কয়েকটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে নারিশা জোয়ার ও কৃষ্ণদেবপুর অন্যতম। কিন্তু এ গ্রামগুলোর মানুষকে যেকোনো প্রয়োজনে নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে আসতে হয়। তা ছাড়া বিচ্ছিন্ন এ চরাঞ্চলগুলোতে শত শত শিক্ষার্থী আছে। তারা সবাই মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়, নারিশা পশ্চিম চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে লেখাপড়া করতে। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিয়ে তাদের আসতে হয়। ‘দোহারের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখেছি ওখানকার মানুষের সমস্যা, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের। একরকম গাদাগাদি করে ঝড়, বৃষ্টি আর ঢেউয়ের মধ্যে কী ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। নদী পাড়ি দেওয়ার ভয়ে অনেকে লেখাপড়াই ছেড়ে দিচ্ছে।
এমন অসংখ্য শিক্ষা বঞ্চিত এলাকা রয়েছে বাংলাদেশে। তবু বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। অথচ সেদিকে কারো কোন খেয়াল নেই। আমাদের রাজনীতিকরা নিজেদের মত করে রাজনীতিকে ব্যবহার করার কারনে নিজেদেরকে নিয়েই ব্যাস্ত তারা। আর এ কারনেই সারাদেশে ৭০ লক্ষ করে শিক্ষার আলোর থেকে ঝরে পড়া শিশু কিশোরের না ভাবলেও ক্ষমতায় আসার আর থাকার চেষ্টায় মত্ত তারা। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৬ শ, আওয়ামী লীগ-মহাজোট থেকে ৬ সহ প্রায় ১৩ শ সংসদ সদস্য প্রার্থী এবার নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা তৈরির চেষ্টায় অগ্রসর হবেন। অবশ্য এরই মধ্যে যারা নেমে পড়েছেন, তারা হলেন- এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), এইচএন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), শেখ হাসিনা (রংপুর-৬), মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), আবদুল মালেক (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬)। ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), প্রকৌশলী এনামুল হক (রাজশাহী-৪), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২), এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), আবদুল মজিদ ম-ল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫), ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), আবদুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), বীরেন শিকদার (মাগুরা-২), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), মাশরাফি বিন মর্তুজা (নড়াইল-২)। হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণচন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এসএম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), এডভোকেট ধীরেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন (পটুয়াখালী-৩), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), এডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস (বরিশাল-২), পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪), কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম (বরিশাল-৫), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২)। ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), খন্দকার আবদুল বাতেন (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩)। সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), এডভোকেট কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২) নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), হাজি মোহাম্মদ সেলিম (ঢাকা-৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), একেএম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক (ঢাকা-১৪), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা (ঢাকা-১৬), চিত্রনায়ক ফারুক (ঢাকা-১৭), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮)। আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (নরসিংদী-৩), এডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), গাজী গোলাম দস্তগীর (নারায়ণগঞ্জ-১), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), একেএম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪)। কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪), লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), একেএম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩)। মির্জা আজম (জামালপুর-৩), রেজাউল করিম হিরা (জামালপুর-৫), আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), একেএম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩), জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), এডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১)। জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এমএ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), মাহাবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪), মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস (সিলেট-৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪), নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), সৈয়দা সায়রা মহসিন (মৌলভীবাজার-৩), এডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা- ৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস (কুমিল্লা-১০), মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম (চাঁদপুর-২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), এইচএম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), একেএম শাজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর-৩)। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (চট্টগ্রাম-১৩), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩), শাহীন আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি) ও বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (বান্দরবান)। এই উল্লেখিত ব্যক্তিগন নিজেদেও ক্ষমতার জন্য টাকার মেলা বসাবেন নির্বাচনে। কিন্তু তারা যদি দেশ ও মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত থাকতেন নিশ্চিত কওে বলতে পারি যে, যতই টাকার মেলা বসুক আর খেলা হোক; কোন বাঁধা বিপত্তিই তাদেরকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার রাস্তা থেথকে সরাতে পারতো না। কিন্তু তা হয় না, কেননা, এদেও অধিকাংশই শিক্ষা নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে, সমাজসেবা ও ধর্ম নিয়ে ব্যবসায় ব্যস্ সময় কাটায়। যে কাজটি করার কারনে নির্মম ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ছাতত্র শিবির-জামায়াতেতর মত অবিরত সাংগঠনিক কাজ করে চলা লোভাতুর রাজনৈতিক প্লাটফর্মও। হিসেবে করলে দেখা যাবে বিএনপির সাবেক এমপিদেরও একটা বড় অংশ শিক্ষা ব্যাপাওে উদাসিন ছিলো ক্ষমতায় থথাকাকালিন সময়ে। যে কারনে নতুন প্রজন্মেও কাছে তারা ধীকৃত হয়েছেন। যদি ধীকৃত হতে না চান, নিবেদিত থেথকে শিক্ষা-সাহিত্য-সমাজসেবায় অনবদ্য এগিয়ে যান। এই আহবান সবার জন্য নিরন্ততর…