আইএস নির্মূলের ভার এরদোগানকে দিলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেসকঃ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ‘অবশিষ্ট’ যোদ্ধা নির্মূলের ভার তুরস্কের হাতে দিল যুক্তরাষ্ট্র। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার এরদোগানের সঙ্গে এক ফোনালাপে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে কথা বলেন ট্রাম্প। এদিন এক টুইটার বার্তায় তিনি জানান, এরদোগান তাকে সিরিয়া থেকে সর্বাÍক শক্তি প্রয়োগ করে হলেও অবশিষ্ট আইএস তাড়াবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এরদোগানকে প্রশংসা করে বলেন, ‘এরদোগানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এমন কাজ করার সক্ষমতা রাখেন। তাছাড়া আইএস এখন ‘তুরস্কের দোরগোড়ায়’। অবশেষে আমাদের সেনারা ঘরে ফিরছে।’
এরপরই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এক নির্বাহী আদেশের স্বাক্ষর করেন তিনি। ওয়াশিংটনের এ সেনা প্রত্যাহারের প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের এক শীর্ষ উপদেষ্টা বলেছেন, সিরীয় সেনাদের আক্রমণের মুখে সিরিয়া থেকে পালিয়ে বেঁচেছে মার্কিন সেনারা। খবর সিএনএন, আলজাজিরা ও এএফপির।
আলজাজিরা সোমবার জানায়, ইতিমধ্যে তুর্কি-সিরীয় সীমান্তে সেনা সমাবেশ ও তৎপরতা বাড়িয়েছে তুরস্ক। গত সপ্তাহেই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দেন এরদোগান। কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুর্কি অভিযানের হুমকির মধ্যে বুধবার হঠাৎই সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ‘বেশ অবাক’ হয়েছে বলে জানায় যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ মার্কিন মিত্র দেশগুলো। প্রতিক্রিয়ায় পদত্যাগ করেন পেন্টাগন প্রধান ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস।
পদত্যাগ করেন আইএসবিরোধী লড়াইয়ে সিরিয়ায় ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্কও। তবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছে ন্যাটোভুক্ত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
কারণ এতে দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে টানাপোড়েনের একটি কারণ সরে গেল। গত চার বছর ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সহায়তা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই এই মার্কিন উদ্যোগের সমালোচনা করে আসছেন এরদোগান।