সব

নড়াইলে রায় গ্রামে ধর্ষিত বিধবা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 16th February 2019at 8:05 am
111 Views

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের রায় গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক বিধবা মহিলা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না ওই মহিলা।

জানা গেছে, নড়াইলের রায় গ্রমের অনিল বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ওই মহিলাকে বিয়ে করেন (পুস্প রানী)। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে অনিল বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটের ওপরে টিনের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে তার দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে দিন মজুরের কাজ করে জীবনযাপন করে আসছিলেন।

ওই মহিলা জানান, বিগত ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রতিবেশী জাফর মোল্যার নির্মাণাধীন বাড়িতে দিন মজুর হিসেবে কাজে যান। বাড়ির কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা জাফর মোল্যার শ্যালক একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মীনার ছেলে ইমদাদুল মীনা একা পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয় ইমদাদুল। লোকলজ্জা ও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ওই মহিলা। কিন্তু এরই মধ্যে গর্ভের অনাগত সন্তান দিন দিন বড় হতে থাকে। পুষ্পের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পেলে প্রতিবেশী মহিলাদের কাছে বিষয়টি বলেন। এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে।

গ্রামবাসীরা জানায়, ইমদাদুল বর্তমানে নড়াইলে অবস্থান করছে। তার ভাই সাকায়াত মীনা, তরিকুল মীনা ও চাচাতো ভাই বাশার মাষ্টারসহ কয়েকজন নিকট-আত্মীয়কে নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা বা মীমাংসার চেষ্টা করছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন অনেকে। অভিযুক্ত ইমদাদুল মীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে তার ভাই তরিকুল মীনা জানান, ইমদাদুল মীনা গত ৭/৮ দিন আগে সৌদি আরব গেছে। এ কারণে অভিযুক্ত ইমদাদুল মীনার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নড়াইলের লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার আমার বাংলা২৪কে ,বলেন, ওই মহিলাকে থানায় আনার জন্য স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ খবর