৬৫% কৃষক অন্য পেশায় যেতে চান: জরিপ
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে পারিবারিক কৃষি সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে পরিচালিত জরিপে দেখা যায় ৬৫.৪৮ শতাংশ কৃষক নানা সময় অন্য পেশায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কৃষক পরিবারগুলোর মধ্যে ৮৩.১৫ শতাংশ বলেছেন তাদের খামারের আয় তাদের পারিবারিক চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। মঙ্গলবার বিকেলে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক- খানি, একশানএইড, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী আয়োজিত পারিবারিক কৃষিতে অর্থায়ন শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষক ও পারিবারিক কৃষিকে বাঁচানো না গেলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এই গবেষণা থেকে যে সুপারিশগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে পারিবারিক কৃষি সংকট ও সম্ভাবনা এবং কৃষিতে নারী’ শীর্ষক দুটো বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক- খানির সভাপতি ড. জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও একশান এইডের পরিচালক আসগর আলী সাবরির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার পরামর্শক ড. অনিল কুমার দাস ও মৃক্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল বারী। বক্তব্য রাখেন এশীয় ফামার্স এলায়েন্সর সভাপতি সাজেদা বেগম, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলেনর সম্পাদক আমান রহমান, বিসেফ ফাউন্ডেশানের সম্পাদক আতাউর রহমান মিটন, খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কনসালটেন্ট আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দেশের ১১টি অঞ্চলের ১৪টি উপজেলার ৮৬টি গ্রামের ৮৯৯ জন কৃষকের কাছ থেকে গবেষনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষক পাভেল পার্থ ও নুরুল আলম মাসুদ বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮০.৫৪ ক্ষুদ্র কৃষক নিজেদের উতপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং তারা মনে করেন বাজারে অভিগম্যতা এবং বাজারজাত করণ সহজ মনে করেন না। পারিবারিক কৃষি জোরদার করতে কৃষিজমি সুরক্ষা ও কৃষিজমিতে কৃষকের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, কৃষিপ্রতিবেশভিত্তিক কৃষি সুরক্ষা করা, কৃষিতে যুবসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বার্থে শষ্যবীমা, কৃষকদের জন্য পেনশানস্কিম, বীজবীমা এবং অনুজীব ভর্তুকি প্রদানসহ ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সূত্র সমকাল