“ফিজিওথেরাপির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফিজিওথেরাপিশাখার উদ্যোগেআজ ১৯ মে ২০১৯ইং, রবিবারবিকাল ৪ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয়কার্যালয় ৮৭,বশির উদ্দিন রোড, কলাবাগানঢাকায় “ফিজিওথেরাপিরউন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষকআলোচনাসভা ও ইফতারমাহফিলঅনুষ্ঠিতহয়েছে।উলেখ্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান এর উদ্যোগে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে থেরাপি ও পুনর্বাসনশিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা চালু হয়েছিল।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবেউপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারন স¤পাদক ডা:এস এ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবেউপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সাবেকডীন, ফার্মেসীঅনুষদ ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. কাজীসাইফুদ্দিন, ডীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি), প্রফেসর ড. ফিরোজ আহম্মেদ, প্রফেসর ফার্মেসি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. শাজাহান মন্ডল,সাবেক ডীন,আইন অনুষোধ,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক অজিত কুমার সরকার,মোঃশহীদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মোঃনাসিরউদ্দিন, সিনেটসদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডা: সাখাওয়াত হোসেন খোকন,কেন্দ্রীয় নেতা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ,মতিউর রহমান লাল্টু,কেন্দ্রীয় নেতা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ। অনুষ্ঠানে ডা: সৈয়দ শামীম আহসান ,পিটি (প্রচার স¤পাদক,বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফিজিওথেরাপি শাখা) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখবেন ডা:এস এ মালেক, সভাপতিত্ব করবেন এবং আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখবেন আইএইচটি ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত কোর্স কোঅর্ডিনেটর ডা: আকতার হোসেন ,পিটি (সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফিজিওথেরাপি শাখা), বক্তব্য রাখবেন ফিজিওথেরাপি প্রফেশনের কিংবদন্তী চিকিৎসক, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেস এর ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্টের প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইব্রাহীমখলিল, পিটি (সহসভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফিজিওথেরাপি শাখা)সহ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ও মহান গরক মিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
আলোচকরা বলেন১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর হাজার হাজার আহত, পঙ্গু ও অক্ষম মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মক্ষম ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তৎকালীন সময় আহত মুুক্তি যোদ্ধাদের পূনর্বাসনে পৃথিবী বিখ্যাত অর্থোপেডিক চিকিৎসক আর জে গাস্ট বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রনে বাংলাদেশে আসেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসন চিকিৎসা ও পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি ও অর্থোপেডিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেন।
ঢাকাবিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহীবিশ^বিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়এবং গণ বিশ^বিদ্যালয়েচিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অনুষদে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে ৫ বৎসর মেয়াদি স্নাতক ও ২ বৎসর মেয়াদি ¯স্নাতকক্তোতর ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। আজ অবধিপ্রায় তিন হাজার স্নাতক ও স্নাতকক্তোতর ডিগ্রিনিয়েফিজি ও থেরাপিস্টগণ সম্মানের সাথে দেশের সর্বস্তরের জন সাধারনের স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রেখে চলেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়চিকিৎসা অনুষদে প্রায় ছয় হাজার ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল
টেকনোলজি (ফিজিওথেরাপি) ৩ বৎসর মেয়াদি ডিগ্রি অর্জন করে বিভিন্ন কর্মস্থলে ফিজিওথেরাপিস্টদের সহায়তায় নিয়োজিত আছেন।
দেশের স্বাস্থ্য সেবায় এবং পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ফিজিওথেরাপি পেশাজীবিগণ অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। যেমন-পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাসনে, সড়ক দূর্ঘটনায় আঘাত জনিত পূনর্বাসন, জন্মগত বিকলাঙ্গ শিশুদেও পূনর্বাসন,অটিজম শিশুদের পূর্নবাসন, ক্রীড়া জনিত আঘাতের চিকিৎসায় ও পূনর্বাসন এবং কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশনে ফিজিওথেরাপি পেশাজীবিগণ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে চলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই সোনার বাংলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী নেত্রীত্বে উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা চলছে সেখানে ফিজিওথেরাপি পেশা জীবিগণ অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।