নড়াইলের সেই স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় মামলা
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় দুজনের নামে মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন। গতকাল ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলায় ওবায়দুর রহমান (২০) ও কাবুল জমাদ্দারকে (২৫) আসামি করা হয়েছে।
কাবুল নড়াইলের দীননাথপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী। তাঁকে শনিবার দুপুরেই গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার তদন্ত করবেন নড়াইলের লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওবায়দুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। শনিবার ভোরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। রাস্তায় বখাটে ওবায়দুর ও তাঁর সহযোগী কাবুল ছাত্রীর পথরোধ করেন। ওবায়দুর তাকে আটকে রাখেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে ওবায়দুর তাকে বেধড়ক হাতুড়ি পেটা করেন এবং কাবুল কিল-ঘুষি মারেন।
আহত ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, আমি ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যাই এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, সেই সাথে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।