হটাও ভাটা-বাঁচাও আম’ শিবগঞ্জে অবরুদ্ধ মহাসড়ক
ফাহিম ফরহাদঃ প্রতিবছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্থকরী ফসল আম ফল রক্ষার্থে আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও এর কোনো প্রতিকার পাননি জেলার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আম ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও প্রশাসন নিরব কেন? এমনই অভিযোগ করেছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
এমনই অভিযোগ ও ইটভাটা অপসারণ এবং আম ফলসহ বিভিন্ন ফসল রক্ষার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক বন্ধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৯ মে ২০১৯ইং) সকালের দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর বহলাবাড়ি মোড়ে বাংলাদেশ জাসদ, আম বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, আম ও বিভিন্ন ফসল রক্ষার্থে নিজের জীবন দিয়ে দিব, কিন্তু অবৈধ ইটভাটা মালিকদের সাথে কোন আপোষ করব না।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাসদ শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আজিজুর রহমান আজিজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাসদ শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল আক্তার, আম বাগান মালিক আলহাজ্ব মাহতাব উদ্দিন, আবু তাহের, নজরুল ইসলাম, মো. সেরাজুল ইসলাম ও চুন্নু আলীসহ শতশত আম চাষি, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে সরকারি জায়গায় ৮টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। যার কারণে ছত্রাজিতপুর, চন্ডিপুর, বহলাবাড়ি, রশিকনগর, কমলাকান্তপুর ও মহদীপুর এলাকার শতশত আম বাগানের আম ফল নষ্ট হয়েছে।
এ ছাড়াও উপজেলার শ্যামপুর উপর কয়লা এলাকায় অর্ধ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে গড়ে উঠা ৪টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কয়েকবছর ধরে আন্দোলন চললেও কোন প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে ভাটা ৪টির কার্যক্রম।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও ভাটা স্থানান্তর করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনাকেও তোয়াক্কা করছেনা জামায়াত নেতা আবু তালেব এর মালিকানাধীন শ্যামপুর কয়লা গ্রামে অবস্থিত ‘সেভেন স্টার ইটভাটা'(১) ও আটরশিয়া গ্রামের ‘সেভেন স্টার ইটভাটা'(২)। এছাড়াও একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে কয়লা গ্রামে ‘সাথী ভাটা’, ‘সনি-বি'(১) ও ‘সনি-বি'(২)।
মানববন্ধন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, ইটভাটা মালিকদের পক্ষ থেকে ভাটা বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বন্ধ ও আম ফলসহ বিভিন্ন রক্ষার্থে চাসিদের সহযোগিতা করবে বলে ১৫০ টাকা ষ্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করলেও তাঁরা তার বাস্তবায়ন করেনি।
তাঁরা এতোটাই প্রভাবশালী যেনো প্রশাসন তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি। আমরা এই সব অবৈধ ইটভাটা অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আগামীতে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই মহাসড়ক ছাড়বো না। আম ফলসহ বিভিন্ন ফসল রক্ষার্থে যদি সড়কে জীবন দিতে হয় তবুও মহাসড়কে আন্দোল চালিয়ে যাবো।