সেমির স্বপ্নে বিভোর টাইগার সমর্থকরা
খেলাধুলা ডেস্কঃ এক সময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেট আর এখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে সমর্থকদের চাওয়ার। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে প্রথম অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় ও তিনটিতে পরাজিত হয় টাইগাররা। তখন সমর্থকদের চাওয়া ছিলো যুদ্ধ করা। জয় অথবা পরাজয় গুরুত্বে আসেনি। এর পর কোনমতে ২৫০ রান করাই যেন ছিলো টাইগার সমর্থকদের জন্য সম্মানের। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে খেলে বাংলাদেশ। যেতে যেতে ৫টি বিশ্বকাপ শেষ করে এখন টাইগার টিমের মতো দর্শকদেরও প্রত্যাশা বেড়েছে। এবারের বিশ্বকাপে এখনো সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। সমর্থকদের চাওয়া সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছানো। এককথায় সেমির স্বপ্নে বিভোর টাইগার সমর্থকরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের ৮ম ম্যাচে সামনে টুর্নামেন্ট ফেভারিট ভারত আর ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান। এ দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ তৈরি হবে টাইগারদের। পাকিস্তানকে খুব কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করছেন না বাংলাদেশ সমর্থকরা। তবে ভারতের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে বলে মনে করছেন টাইগার সমর্থকরা। বস্তুত, ভারত আর পাকিস্তান ম্যাচ জিতলে পারলেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে যাবেন বলে মনে করছেন তারা। এই দুই জয়ের পরও বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যাক আর না যাক।
এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৫ নম্বরে আপাতত বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান ম্যাচে লিটন দাসের আউট মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা। ওই আউট নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ার আলিম দারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা চলছে ক্রিকেট পাড়ায় আরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্সে বিশ্বব্যাপী সমর্থক অনেক বেড়েছে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সাকিব–মুশফিকরা অবসরের পরও যেন ভালো জীবনযাপন করতে পারে, তার ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীনভাবে খেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তোমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সেটা আমরা করব। তোমরা খেলে যাও।