সব

চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবি প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Monday 8th July 2019at 7:00 pm
44 Views

আমারবাংলা ডেস্কঃ পিএসসি থেকে সংগৃহীত ৩৫ তম, ৩৬ তম এবং ৩৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় পাশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনটি বিসিএসে দেখা গেছে যারা বেশি বয়সী তাঁদের পাশের হার খুবই কম।

আজ সোমবার গণভবনে চীন সফরের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সী ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া হবে না। কারণ আন্দোলন করলে তারা অন্তত রাজনীতিটা শিখতে পারবে।

তিনি বলেন, এখন জন্ম নিবন্ধন হয়। নিয়মিত পড়াশোনা করলে ১৬ বছরে এসএসসি পাশ করে। এরপর দুই বছরে এইচএসসি। এরপর চার বছরে অনার্স ও এক বছরে মাস্টার্স করলে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫ তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পাশের হার ৪০.৭ ভাগ, ২৫-২৭ বছরের মধ্যে পাশের হার ৩০.২৯, ২৭-২৯ বয়সে ১৩.১৭ শতাংশ প্রার্থী পাশ করেছেন এছাড়া ২৯ বছরের বেশি বয়স যেসব প্রার্থীর ৩.৪৫ ভাগ পাশ করেছেন।

৩৬ তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পাশের হার ৩৭.৪৫ ভাগ, ২৫-২৭ বছরের মধ্যে পাশের হার ৩৪.৭৮, ২৭- ২৯ বয়সে ১৯.৮৯ শতাংশ প্রার্থী পাশ করেছেন এছাড়া ২৯ বছরের বেশি বয়স যেসব প্রার্থীর ৩.২৩ ভাগ পাশ করেছেন।

এছাড়া ৩৭ তম বিসিএসে ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পাশের হার ৪৩.৬৫ ভাগ, ২৫-২৭ বছরের মধ্যে পাশের হার ২৩.৩৫, ২৭-২৯ বয়সে ৭.২০ শতাংশ প্রার্থী পাশ করেছেন এছাড়া ২৯ বছরের বেশি বয়স যেসব প্রার্থীর ০.৬১ ভাগ পাশ করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, এখন ৩৫ বছর হলে অবস্থা টা কী দাঁড়াবে বুঝিয়ে বলেন?

তিনি বলেন, তখন তো বিয়ে-শাদি হবে, ছেলে-মেয়ে হবে, বউ সামলাতে হবে, ঘর সামলাতে হবে আর পরীক্ষা দিতে হবে। তখন তো আরো করুণ অবস্থা হবে!

তিনি বলেন, কাজ করার একটা সময় বা এনার্জি থাকে। এখন দাবি তোলার জন্য যদি তোলা হয়, তবে আমার কিছু বলার নেই। তারা নিশ্চয় কোনো জায়গা থেকে প্রেরণা পাচ্ছে। কিন্তু তার পরিণতিটা কী দাঁড়াবে?

শেখ হাসিনা বলেন, আর ৩৫ বছর বয়সে পরীক্ষা দিলে, এরপর ফল, পরে প্রশিক্ষণ। এসব শেষ হতে আরও দুই বছর লাগবে, তাহলে ৩৭ বছর হয়ে গেল, এই বয়সে চাকরিতে ঢুকলে তখন ২৫ বছর পূর্ণ না হলে ফুল পেনশন পাবে না। ঠিক আছে পেনশন না পেল, একটা সরকার তাহলে কাদের দিয়ে চালাবেন?

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলি, যারা যুবক, যারা মেধাবী, যাদের কর্মক্ষমতা ভালো, তাদেরকে দিয়েই দেশের উন্নয়নের কাজটা করতে হবে। তবে বয়স বাড়লে কাজের গতি ধীর হয়, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আমি কেবল হিসাব দিলাম, এখন দেশবাসী বিচার করুক, আপনারা বিচার করেন।

তিনি বলেন, যখন আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটা তখনকার হিসাব। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, পার্লামেন্টে এরকম একটা প্রস্তাব এসেছিল, ঠিক এই বিষয়গুলো তখন বিবেচনায় নেয়া হয়।


সর্বশেষ খবর