সব

দাদির মৃত্যুর খবরে গাইতে গিয়ে মুষড়ে পড়েন নোবেল

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Monday 8th July 2019at 7:09 pm
36 Views

বিনোদন ডেস্কঃ জি বাংলার সারেগামাপা’র সেরা ৭- এর পর্ব ধারণ করা হয় রোজার ঈদের ক’দিন পর। যেটা জি বাংলায় প্রদর্শিত হয়েছে গতকাল। রবিবার রাতে এই অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে নোবেল আবেগ আক্রান্ত হয়ে পড়েন। নোবেলের ওই অনুষ্ঠানে নোবেলের গানের রেকর্ডের আগেরদিন মারা যান তার দাদি মুক্তিয়া বেগম।

দাদিভক্ত নোবেল গান শেষে দাদিকে নিয়ে অনেক স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় দাদি তাঁকে নানাভাবে আগলে রাখতেন। সকল কিছুর সাহস পেতেন দাদির কথায়। বাবা-মা তাঁকে যখন অপরাধের কারণে মারতে যেতেন নোবেলকে রক্ষা করতেন দাদি। এমনসব স্মৃতির কথা বলতে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

নোবেল বলেন, আমার দাদাকে আমি দেখিনি। দাদিকেই আমি দাদু ডাকতাম। আজ গান গেয়েছি অর্ধেক মনোযোগ দিয়ে। আমি অনেক ভালোবাসি। তাঁর মৃত্যুর খবরে কান্না আসছে না। কারণ বিষয়টি রেজিস্ট্রার করিনি। এখন এই মুহূর্তে হয়তো স্বাভাবিকভাবে কথা বলছি। হয়তো বেশি শকড বলেই এই অবস্থা। এই শক কেটে গেলে হয়তো আর স্বাভাবিক থাকতে পারবো না।

আরও পড়ুন- ফাইনাল রেজাল্ট শুনে কেঁপে ওঠেন নোবেল, একটাও তালি দেয়নি কেউ

নোবেল বলেন, আমি কলকাতা থেকে ঢাকা গিয়েছিলাম কয়েকটি মৌলিক গানের রেকর্ডিং এর জন্য। যেদিন কলকাতায় চলে আসবো তার আগেরদিন খবর পাই দাদি খুবই অসুস্থ। পরেরদিন আমার কলকাতার ফ্লাইট খুবই সকালে। যার কারণে আর বাড়ি নযেতে পারিনি। আমি চলে আসার পরেরদিন দাদি মারা যায়।

নোবেলের দাদি কলকাতায় গিয়ে নাতির অনুষ্ঠান দেখেছেন দর্শক আসনে বসে। সেদিন বোবেল গেয়েছিলেন ফৌজা মেরে ফৌজা গানটি। গান শেষ করে এসে দাদির পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন।

নোবেলের দাদি মুক্তিয়া বেগম (৮০) রোজার ঈদের পরেরদিন (৬ জুন) মারা যান। পরেরদিন ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়ার মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জানাজা শেষে শহরের মাকার্জ মহল্লা কবরস্থনে মুক্তিয়া বেগমকে দাফন করা হয়। এদিনই ধারণ ঙ্করা হয়েছিল নোবেলের কণ্ঠে ‘এই রুপালি গিটার ফেলে।’


সর্বশেষ খবর