বগুড়ায় মেধা-যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২৩৯ জন
আমারবাংলা ডেস্কঃ ফারহানা ও শামিমের মতো দরিদ্র পরিবারের সন্তান দুপচাঁচিয়া উপজেলার রিফাত হোসেন, শিবগঞ্জের এরশাদুল, নন্দীগ্রামের রাবেয়া, বগুড়া সদরের বিথি খাতুন, সোনাতলার তানিয়া পুলিশে চাকরি পেয়েছেন মাত্র ১০৩ টাকা খরচ করে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে জেলার পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে কনস্টেবল পদে চাকরির চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ বেশির ভাগ প্রার্থীই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ঘুষ ও তদবির ছাড়াই সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বগুড়ায় ২৩৯ জনকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্র জানায়, বগুড়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রার্থী এ বছর কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। এবারে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন ৬ হাজার ২১ জন। তাদের মধ্য থেকে শারীরিক যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে ৬২১ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত করা হয় এবং তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সেখান থেকে ১২৫ জন পুরুষ, ৭০ জন নারী ও অন্যান্য কোটায় ৪৪ জনসহ মোট ২৩৯ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। এছাড়াও ১০ জনকে রাখা হয়েছে অপেক্ষমাণ তালিকায়। উত্তীর্ণদের আগামী ১৩ জুলাই মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘সারাদেশে এবারের মতো শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে মেধাভিত্তিক নিয়োগ আগে কখনো দেখিনি। বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে নিয়োগ পরীক্ষার আগে থেকে আমরা সতর্ক ছিলাম। দালালেরা যাতে প্রার্থীদের প্রতারিত করতে না পারে, সে জন্য গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করেছে।’
এছাড়া যারা চাকরি লাভের আশায় দালালদের টাকা দিয়েছে তারা অভিযোগ করলে পুরো টাকা তুলে দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।