কোকাকোলার ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে- অর্থমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করেছ চলেছে। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে যে কয়েকটিদেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গড় হিসাবে এক দশক ধরে দেশের রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ওপরে আছে কেবল ভিয়েতনাম। বিশ্ববাণিজ্যের এ চিত্র উঠে এসেছেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। এটি গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়। সব মিলিয়ে বিশ্ববাণিজ্যেবাংলাদেশ এখন ৪২ তম বড় রপ্তানিকারক দেশ, অন্যদিকে আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। সুতরাং বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং অপার সম্ভাবনার দেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট, ২০১৯) মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কোকাকোলার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অপারেটিং অফিসার ব্রেইন জন স্মিথের ( Brain john Smith) সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন।
মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সব চেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনারসুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। দেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। তাই কোকাকোলার উচিত বাংলাদেশে আরো বেশী বিনিয়োগ করা এবং তার তরুণ ও বর্ধমান জনসংখ্যার সুযোগ নেওয়া। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশেজনমিতিক লভ্যাংশের ‘ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ট’ সুযোগ বিদ্যমান। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। চীন, ভারত এবং এশিয়ারঅন্যান্য ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে। ২০৩২ সালে পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ হবে চীন, দুইনম্বর হবে আমেরিকা, তিন নম্বর হবে ইন্ডিয়া, চার নম্বর হবে জাপান এবং পাচ নম্বর হবে জার্মানী। চীন, ভারত ও জাপান এই তিনটি বৃহত অর্থনীতির দেশের মাঝে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবালআউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সুতারাং কৌশলগত কারনেই বাংলাদেশকে এড়িয়ে বিশ্বের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।
কোকাকোলার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অপারেটিং অফিসার ব্রেইন জন স্মিথ বাংলাদেশে আগামী পাচ বছরে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি তিনি বর্তমান কর ব্যবস্থায় বিদ্যমান সম্পূরক কর ও মুল্যসংযোজন কর হ্রাস করা যায় কিনা সেই বিষয় বিবেচনা করার বিষটি আলোচনা করেন। মাননীয় মন্ত্রী কোকাকোলাকে আরো অধিক বিনিয়োগ করার আহ্বান করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং পুজিবাজারে নিবন্ধনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। অধিক বিনিয়োগ সম্পৃক্ত করনের মাধ্যমে কোকাকোলার সম্পূরক কর হ্রাস করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে হবে বলে আশ্বস্ত করেন। মাননীয় মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন কোকাকোলার ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।