মিন্নির জামিন প্রশ্নে রুল, তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব
আমারবাংলা ডেস্কঃ বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৮ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরোয়ার হোসাইন। এর আগে গতকাল (সোমবার) মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি জন্য আজকের (মঙ্গলবার) দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
গত রবিবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্ট বেঞ্চে মিন্নির পক্ষে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। সোমবার (১৯ আগস্ট) মিন্নির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আগেই মিন্নির দোষ স্বীকার সংক্রান্ত বিষয়ে বরগুনার এসপি কখন সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা জানতে চেয়ে জামিন শুনানি আজকের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেয়নি। এ অবস্থায় তার আইনজীবী আবেদনটি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানালে হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে মিন্নিকে রিফাত হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও নয়ন বন্ডের অন্যতম সহযোগী বলে দাবি করেন।
এর আগে গত মাসে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত মিন্নির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, পরে এক আসামির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।