শেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমজাদ হোসেন আর নেই
ফারুক হোসেন (শেরপুর)প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৭০-৭১ এ শেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, শেরপুর পৌরসভার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান, শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সফল সভাপতি ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি আমজাদ হোসেন আর নেই।
তিনি আজ ৩১ আগস্ট শনিবার ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১২.১৫ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, আমেরিকা প্রবাসী এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।শেরপুর শহরের শীতলপুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সজ্জন, সদালাপি ও স্পষ্টভাষী আমজাদ হোসেন রাজনীতির পাশপাশি ব্যবসা এবং সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যুদ্ধাপারধিদের বিচার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সবসময় সামনে থেকে নেতৃৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে অবিভক্ত জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে শেরপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।শেরপুর পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও রোটারী ক্লাবের সভাপতি এবং জেলা যুবলীগ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শেরপুর শহরের শীতলপুর এলাকায় হাজী কলিমদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং শেরপুর সরকারি কলেজ ও শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শেরপুরের বিভিন্ন মহল গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।