বাংলাদেশি হিন্দুরা স্বাগত, অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ঠাঁই নেই: দিলীপ ঘোষ
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রতিবেশী রাজ্য অসমে ততক্ষণে জারি হয়েছে এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা। বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম। এমনই দিনে বর্ধমানে সাংগঠনিক সভা করতে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি- বাংলাদেশি হিন্দুরা স্বাগত, অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ঠাঁই নেই। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করা হবে না।
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে জারি হবে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ। বর্তমান তৃণমূল সরকার এর প্রবল বিরোধী। বিরোধী বাম ও কংগ্রেসও বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এনআরসি জারি করতে বিজেপি অটল ভূমিকা নেবে বলেই জানিয়েছেন দিলীপবাবু।
শনিবার বর্ধমানের লায়ন্স ক্লাবে দলীয় সংগঠনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অভ্যন্তরীণ বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ও জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে দিলীপবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সামনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক ধ্বনি এবং কালো পতাকা দেখান হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের গুডশেড রোড এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বর্ধমান শহর তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু যেখানেই যাবেন সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তৃণমূল সমর্থকরা যখন দিলীপবাবুকে ঘেরাও করেছেন, তখন উল্টো দিকে অবস্থান নেয় বিজেপি। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এমন সময় দিলীপবাবুর গাড়ি আটকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দু পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাংগঠনিক সভা সেরে দিলীপবাবু চলে যেতেই বিজেপি কর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পার্কাস রোড মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে দেয়।
সুত্রঃ কলকাতা 24×7