টাকার ওপর সিল সই ও কোনো প্রকার লেখালেখি নয়
আমারবাংলা ডেস্কঃ ব্যাংক নোটের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য ঠিক রাখতে টাকার ওপর সিল, সই, সংখ্যা বা অন্য যেকোনো লেখালেখি না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা ছাড়া অন্য সব নোটের বান্ডিলে আর স্ট্যাফলিং করা যাবে না। এর পরিবর্তে পলিমার টেপ বা পলিমারযুক্ত পুরু কাগজের টেপ দিয়ে ব্যান্ডিং করতে হবে। এত দিন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে পিন করার সুযোগ ছিল। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয় ব্যাংকগুলোতে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, টাকার ওপর সংখ্যা লিখন, সিল, স্বাক্ষর প্রদান বা বারবার স্ট্যাপলিং করার ফলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে নোটগুলো অপ্রচলযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লেখালেখির এ প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে এবং ব্যাংকাররা লাল, নীল, কালোসহ বিভিন্ন কালিতে বেশি লেখালেখি করছেন। এ ছাড়া সব মূল্যমানের নোট ব্যান্ডিং বা প্যাকেট করার সময় সিল মারার বিষয়টি প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে। এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অচল হয়ে যাচ্ছে। আর স্ট্যাপলিংয়ের কারণে নোটের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। এ প্রবণতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট নীতি ও নোট ব্যবস্থাপনা কৌশলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এ রকম পরিস্থিতিতে টাকার ওপর কোনো ধরনের সিল, সই, লেখালেখি বা স্ট্যাপলিং না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেট করার সময় সিল, সই, সংখ্যা বা অন্য কোনো লেখালেখি না করে ব্যাংকের মুদ্রিত ফ্লাইলিফে ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারী ও প্রতিনিধির স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যিকভাবে দিতে হবে। আর স্ট্যাপলিং না করে পলিমার টেপ অথবা পলিমারযুক্ত পুরু কাগজের টেপ দিয়ে ব্যান্ডিং করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকগুলো অন্য দেশে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তির আলোকেও ব্যান্ডিং করতে পারবে। তবে সে পদ্ধতি যেন বর্ণিত ব্যান্ডিংয়ের চেয়ে কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের মুদ্রার ওপর লেখালেখি বা স্ট্যাপলিংয়ের প্রচলন নেই। বাংলাদেশে কারণে-অকারণে নোটের ওপর লেখা, সিল বা সই করা হয়। হিসাব রাখার সুবিধার্থে ব্যাংকাররাই এ কাজ বেশি করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নোট ছাপানোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে এ নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।