নববধূ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
অনলাইন ডেস্কঃ থানা থেকে বের হয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ও নববধূ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওই ছাত্রীর নাম লিজা রহমান (২০)।
শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে না নেওয়ার জের ধরে আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহিলা টিটিসি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই কলেজছাত্রীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটনায় লিজার শরীরের সামনে, কোমরের ওপর থেকে মুখমণ্ডল এবং শ্বাসনালীসহ প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। লিজা রহমানের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আবদুল লতিফ।
রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ ওই ছাত্রীকে আশঙ্কজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ছাত্রীটি দুপুরে থানায় এসেছিল তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বিয়ে মেনে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করতে। তবে আমি তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যেতে বলি। তিনি শাহমখদুম থানার ভিতরেই অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যায় বলে শুনেছি। কিন্তু সেখানে গিয়ে একজন নারী তার নিকট থেকে অভিযোগ লিখে নেওয়ার সময় তার মন মতো হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভে ছাত্রীটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে বের হয়। এরপর থানার পাশে মহিলা টিটিসি এলাকায় গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে প্রকাশ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এদিকে জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রী সম্প্রতি সাখাওয়াত হোসেন নামে একই বর্ষের এক ছাত্রকে বিয়ে করে। সাখাওয়াত রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্র। কিন্তু সাখাওয়াতের পরিবার ওই বিয়ে মেনে নিতে চাইছিল না। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে লিজা রহমানের পালক বাবার ছেলে শিহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তারা (লিজা-সাখাওয়াত) সম্প্রতি বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। কিন্তু লিজাকে আমরা বাড়িতে আসতে বলেছিলাম। বাড়িতে না সে এসে সে থানায় বিচার চাইতে গিয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে।