সব

যানজট নিরসনে প্রশস্ত হচ্ছে যাত্রাবাড়ী মোড়ের ত্রিমুখী সড়ক

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 19th April 2016at 8:49 pm
27 Views

30স্টাফ রিপোরটারঃ  রাজধানীর যানজট নিরসনে যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ত্রিমুখী রাস্তা সম্প্রসারণ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প  অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,

আজ অনুমোদন পাওয়া আট প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি সহায়তা
তহবিল থেকে পাঁচ হাজার ৪৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য থেকে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ত্রিমুখী রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ত্রিমুখী রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সহজে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তার প্রশস্ততা বৃদ্ধি করা, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, পথচারীদের সহজে চলাচলের ফুটপাতের উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্পটি ফাস্ট ট্রাক প্রকল্প হিসেবে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিন বছরের মধ্যেই অন্তত: রামু-কক্সবাজার রেল লাইন তৈরির কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটারসহ মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সিংগেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের যোগাযোগ স্থাপনসহ ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প হচ্ছে- রেলওয়ের জন্য ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী গ্যারেজ পুনর্বাসন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বড়তাকিয়া (আবুতোরাব) থেকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল
সংযোগ সড়ক প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সাদুল্লাপুর-পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জ জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ
প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৯৩তম কিলোমিটারে ২১৯ দশমিক ৪৫৬ মিটার
দীর্ঘ শাহবাজপুর সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মনু নদী সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। মাল্টি চ্যানেল সিøপওয়ে নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।


সর্বশেষ খবর