সব

রাজধানীর ৩৬টি স্পটে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা – নিরব ভূমকিায় পুলিশ

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 21st April 2016at 7:32 am
39 Views

40সৈয়দ শরিফুল ইসলাম:প্রথম পর্বঃ মাদকের ভয়ানক থাবার কবলে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে দেশ। দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মাদকের ব্যবহার। যুব-সমাজ আকৃষ্ঠ হয়ে পড়ছে মাদক সেবনে।
মাদকের ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে। বর্তমান যুব-সমাজ জীবন নিয়ে মরণ নেশায় মেতে উঠেছে। সেই সাথে মেতে উঠেছে তরুনিরাও।

রাজধানীর ৩৬টি মাদক স্পটে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা।এসব স্পট থেকে প্রতিনিয়তই পাচার করা হচ্ছে সর্বনাশা ইয়াবা। সেই সাথে আমদানি করা হচ্ছে গাঁজা,মদ ও হেরোইন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে মাদক চোরাকারবারীরা গড়ে তুলেছে ৫৮টি মাদক স্পট। এসব স্পটের মধ্যে ৩৬টি স্পট থেকে গাঁজা,মদ,ইয়াবা ও হেরোইন পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাজধানীর বুকে গড়ে ওঠা ছোট-বড় ৫৮টি মাদক স্পট। এর মধ্যে ৩৬টি স্পট ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।  এসব স্পটের নেতৃত্বে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। যার ফলে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। মাদক চোরাকারবারীরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় এক্ষেত্রে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। রাজধানীর ৩৬টি স্পটের দায়ীত্বে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ১৪জন নেতা। তাদের ছত্রছায়ায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। রাজধানীর ৫৮টি মাদক স্পটের মধ্যে ৩৬টি স্পটকে গুরুত্তপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে “মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর” ৩৬টি মাদক স্পটের মধ্যে রয়েছে
উত্তরখান,দক্ষিনখান,কামারপাড়া,তুরাগ,খিলক্ষেত,আশকোনা,উত্তরবাড্ডা,তেজগাঁও রেল স্টেশন এলাকা,নতুন বাজার,নাখালপাড়া,ভাটারা,খিলগাঁও,কমলাপুর,কারওয়ান বাজার,মগবাজার,মালিবাগ রেল গেইট এলাকা,মহাখালি বাস ট্রার্মিনাল এলাকা,তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল এলাকা,রামপুরা,হাতিরঝিল,কালশী,মিরপুর-১২,গাবতলী,মিরপুর-৬ এর কাচাঁবাজার এলাকা,শেওড়াপাড়া,আগারগাঁও,মহম্মদপুরের বছিলা,আদাবর, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ এলাকা। উল্লেখিত ৩৬টি মাদক স্পটের দেখাশুনার দায়িত্ব পালন
আসছে ১৪ জন রাঘব বোয়াল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় মাদক স্পট হল কক্্রবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ী বনাঞ্চল। এখান থেকেই ইয়াবা,গাঁজা,মদ,হেরোইন পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে বা বিভিন্ন জেলায়। যার বাহন হিসেবে মাদক চোরাকারবারীরা ব্যবহার করছে মহিলারে। কক্্রবাজার “মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর” সূত্রে জানা যায়,গোপন
সংবাদেও ভিত্তিতে বার বার অবিযান চালালেও হোতারা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। যার ফলে মাদকের ব্যবহার থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। মাদকের ব্যবহার এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মেও জন্য মারাতœক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন মাদক গবেষকরা।

বিস্তারিত…


সর্বশেষ খবর