চরম দুর্ভোগে ঢাকা-জামালপুর রেলপথের যাত্রীরা
জেলা সংবাদ ডেস্কঃ ঢাকা-জামালপুর রেলপথে চলাচলকারী আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন হতে জামালপুর সদর জংশন ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকেট থেকে বিপুল সংখ্যক টিকেট বরাদ্দ বাতিল করে কয়েকটি স্টেশনে দিয়ে দেয়ায় চরম বিপাকে পরেছে জেলা সদরের ট্রেন যাত্রীরা।
জানা যায়, ঢাকা হতে দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশনগামী আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে জেলা সদর জংশন ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকেট হতে দুই দফায় মোট এক’শ ৫৬টি টিকেট কর্তন করায় চরম হতাশার মধ্যে পরেছে এ স্টেশন থেকে চলাচলকারী যাত্রীরা। দ্রুত গতি সম্পন্ন ও আরামদায়ক রেল ভ্রমনের জন্য এ অঞ্চলের যাত্রীরা আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই এই ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য ট্রেন হতে অনেক বেশী।
জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো.জহুরুল ইসলাম বলেন,আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর হতে জামালপুর সদর স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের তাপানুকুল সীট কেবিনের ৪৮টি সীটের মধ্যে ৩৬টি এবং স্নিগ্ধা চেয়ার এক’শটি সীটের মধ্যে ৫৫টি সীট দেওয়ানগঞ্জ বাজার ও ইসলামপুর স্টেশনের জন্য কেটে নেয়া হবে।
ইতিপূর্বেও এ স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত একই ট্রেনের স্নিগ্ধা চেয়ার হতে ৩৫টি এবং শোভন চেয়ার হতে ২০টি সীট মেলান্দহ স্টেশনের জন্য কেটে নেয়া হয় বলে তিনি জানান। একই ট্রেন হতে এত বিপুল সংখ্যক টিকেট কেটে নেয়ায় জেলা সদরের যাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির বগি ও আসন বৃদ্ধির জন্য এ অঞ্চলের মানুষ মাঝে মধ্যেই স্টেশন প্ল্যাটফর্মে মানববন্ধনসহ সভা সমাবেশ করেছে।
এরই প্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা ১৮টি নতুন বগি সম্বলিত নতুন সাজে আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পেয়েছি। কিন্তু এই ট্রেনটি হতে জেলা সদর জংশন ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকেটগুলো অন্য স্টেশনগুলোতে কেটে নিয়ে যাওয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। যাত্রী চাপের কথা মাথায় রেখে তিনি অবিলম্বে জেলা সদর জংশন ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকেটগুলো পুনারায় এ স্টেশনে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।