সব

স্বর্ণ প্রতারণার আসামি অভিনেতা দেবের ভগ্নিপতি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 10th September 2016at 7:17 pm
31 Views

8বিনোদন ডেস্কঃ স্বর্ণ প্রতারণায় অভিযুক্ত সেন পরিবার। আর সেই প্রতারক পরিবারের পুত্রবধূ হলেন অভিনেতা তথা পশ্চিম বঙ্গের তৃণমূল সাংসদ দেবের বোন দীপালি! অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে অন্যতম হলেন দীপালির স্বামী অনির্বাণ সেন। অন্য দু’জন শ্বশুর অর্জুন সেন এবং দেওর অনিরুদ্ধ সেন।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে লেক মল সংলগ্ন ‘সেনকো জুয়েলারি প্যালেস আভূষণ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার তিন কর্ণধার হলেন অর্জুন এবং তাঁর দুই পুত্র— অনির্বাণ ও অনিরুদ্ধ। কম দামে বেশি সোনা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সবার থেকে টাকা ও স্বর্ণ সংগ্রহ করত তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই প্রতারক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তুলে নেয়। ‘ধনবৃদ্ধি’ এবং ‘স্বর্ণতৃষা’— এই দু’টি খাতে প্রতি মাসে টাকা জমা দিতেন গ্রাহকেরা। সংস্থার তরফে বছর শেষে জমা টাকার উপর সুদ-সহ গয়না ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানের উপর আস্থা রেখে অনেকে মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত ঠিক করে ফেলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে প্রতারিত হওয়ার আভাস পেয়ে গ্রাহকেরা একজোট হয়ে সংস্থার শো-রুমের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।

গত ৪ অগস্ট যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু বসু নামে এক বিনিয়োগকারী টালিগঞ্জ থানায় সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে শো-রুমের উপরে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সেন পরিবারের সদস্যেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে জানতে পেরে তাঁরা গা ঢাকা দেন। সেই সঙ্গে শো-রুমও বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনাপ্রবাহ থেকে জানা যায় এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে তাঁর নাম আছে জানা মাত্র শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান দেবের বোন দীপালি! পুলিশ সূত্রের খবর, অনির্বাণের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে সেন পরিবারের বাড়ির ঠিকানায় আইনজীবীর চিঠি পাঠান তিনি। সিনেমার মতো যেটুকু যা বাকি ছিল তা পূরণ করে দিয়েছেন সেন পরিবারের সদস্যেরা।

বুধবার রাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ঘণ্টাখানেক টালিগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো লুকোচুরি খেলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেখানেও নাটকীয় উপাদান মজুত ছিল। আদালত চত্বরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা। প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভকারীদের আর্জি, তিন হাজার আমানতকারীর প্রাপ্য সোনা-টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেলেঙ্কারি-কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া জানতে তৃণমূলের সাংসদ দেবের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সম্ভব হয় না।

 


সর্বশেষ খবর