আইএস-এর মাসিক আয় ৮০মিলিয়ন মার্কিন ডলার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ জঙ্গি সংগঠন আইএসকে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, আইএস-এর মাসিক আয় ৮০মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবছর তেল বিক্রি করে আইএস ৫০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে। যার অর্থ প্রতিদিন তারা তেল বিক্রি করে ১৫ লাখ ডলার আয় করছে। ইরাক এবং সিরিয়ার অনেক বড় তেল ক্ষেত্রে এখন আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এই তেল ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এই তেল কারা কিনছে? মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হাতে যাতে কোনভাবেই অর্থ না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৫টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ১৯৯৯ সালে আল-কায়েদার অর্থের উৎস বন্ধ করতে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল তার ভিত্তিতেই আইএস-এর বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। কোন উপায়ে যাতে আইএস অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য পৃথিবীর সব দেশকে আরো সুনির্দিষ্ট এবং জোড়ালোভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইএস-এর অর্থের উৎস কী? মূলত তাদের অর্থ আসে দু’ভাবে। প্রথমত তেল বিক্রি এবং দ্বিতীয়ত লুটকরা পুরাকীর্তি বিক্রি করে। অভিযোগ রয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ দালালদের সহযোগিতায় আইএস’র কাছ থেকে তেল কিনছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন আইএস’র কাছ থেকে তুরস্ক তেল কিনে । পুতিন বলেন, আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ তেল তুরস্কে যায় বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, আইএস-এর কাছ থেকে তুরস্কের তেল কেনার বিষয়টি যদি রাশিয়া প্রমাণ করতে পারে তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন। আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে কি পুতিন তার পদে থাকবেন? প্রশ্ন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এরদোয়ান স্বীকার করুন আর নাই করুন- আইএস-এর তেল দালালদের মাধ্যমে তুরস্কে পৌঁছে। আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৮০ লাখ লোক বসবাস করে। তাদেরও জ্বালানির প্রয়োজন হয়।জাতিসংঘের সত্তর বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের সবগুলো দেশের অর্থমন্ত্রীরা কোন বৈঠকে মিলিত হলেন। আমেরিকা এবং রাশিয়ার উদ্যোগে আনা এই প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের সবগুলো দেশ সর্বসম্মত সমর্থন দিয়েছে। তারা মনে করে আইএস যাতে কোনভাবেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।