‘পৌর নির্বাচন সরকারের শেষ সুযোগ’
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পৌর নির্বাচনকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে শেষ সুযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবসের আকাঙ্ক্ষা এবং চলমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। হান্নান শাহ বলেন, এর আগেও আমরা দু’টি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সরকারকে শুধরানোর সুযোগ দিয়েছিলাম। তারা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এবারও অতীতের মতো নীল নকাশর পুনরাবৃত্তি করবেন কি না সেটি এখন দেখার বিষয়। এবার পৌর নির্বাচনকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে শেষ সুযোগ দিয়েছে।
‘সাবধান! এটা ঢাকা কিংবা গাজীপুর নয়। এখানে চেষ্টা করতে পারেবন, সফল হতে পারবেন না।’ কারণ এবারের নির্বাচন কোন শহরকেন্দ্রিক না। সারাদেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই শত চেষ্টা করেও অবৈধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে সফল হতে পারবেন না। -বলেছেন বিএনপি নেতা হান্নান শাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। আওয়ামী লীগ সব সময়ই মিথ্যাচার করে আসছে। আর আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচননের দিকে তাকালে নৈতিক দিক থেকে পৃথিবীর কোনো দেশের কাছেই এটি গ্রহণযোগ্য হয়নি। পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের দুটি দিক থাকে। তাহলো- প্রত্যেক ভোটার যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং প্রার্থীরা যেন ব্যক্তিগতভাবে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর জন্য সরকার বা প্রশাসনের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হয় না। কিন্তু এ কমিশন এর একটিও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে চলছে ভোটের দিন কী হবে তা জানি না। তবে একথা বলতে পারি, সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে জনগণ এর বিচার করবে। কারণ জাতির অসংখ্য চোখ তাকিয়ে আছে এই নির্বাচনের দিকে। সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, হিটলার মুরসালিনরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করে টিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও (শেখ হাসিনার সরকার) পারবেন না। তিনি বলেন, চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য অতীতে জনগণের কাছে তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা মুর্খ হলে জনগণ ক্ষমা করত। কিন্তু তারা তো অনেক শিক্ষিত! আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহর সভপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ব্যরিস্টার পারভেজ আহমেদ প্রমুখ।