ভাতা কার্ড নেই অনেকের আদিবাসীদের অসহায় জীবন !
ফারুক হোসেনঃ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা জুড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ভুক্ত ‘কোচ সম্প্রদায়’ নামে আদিবাসীরা সুদীর্ঘকাল থেকে বন্যহাতির তান্ডব মোকাবেলা করে অবহেলিত জীবন যাপন করে আসছে। দাওধারা, খলচাঁন্দা ও সমেশ্চুড়া গ্রামে প্রায় শতাধিক কোচ আদিবাসী পরিবার বসবাস করে। এসব পরিবারের অনেকেই দারিদ্রের সাথে লড়াই করে চলে। কেউ দিন মজুরী, বন থেকে লাকড়ী সংগ্রহ করে, বাঁশ দিয়ে ডোল, ধারাই ও চাটাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। কেউবা আবার নিজেদের লাগানো কাসাবা (শিমলা আলু) খেয়েও দিন কাটায়। রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সংকট, শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়াসহ নানা রকম সমস্যা, অভাব অনটনের মধ্যদিয়েই অতিকষ্টে দিনাতিপাত করলেও কেউ তাদের দিকে বিশেষ নজর দেয় না। এদের অনেকের কপালে জুটেনি কোন ভাতাকার্ড।
শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৫ কিঃ মিঃ, নালিতাবাড়ী উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিঃমিঃ দুরে ভারত সীমান্তঘেষা পাহাড়ী নিভৃত
পল্লীতে খোঁজ নিতে গিয়ে, কেমন আছেন? জানতে চাইলে খলচান্দা গ্রামের কোচ আদিবাসী পরিমল কোচ (৩৫) বলেন, ‘নিন্দ্রা হাতি দেনে ওয়ার, লাইট আরো খুচার লাখাই কারকে রিরু’ (আমরা বন্যহাতিদের আগুন, লাইট এবং ডাক চিৎকার করে তাড়াই)।
তিনি আরো বলেন, বন্যহাতির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যেতেও পারিনা।
উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খলচাঁন্দা গ্রামে বসবাস করে ৫০টি পরিবার। এ গ্রামের কোচ আদিবাসীদের এখনো উন্নয়ন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। সরকারি সাহায্য সহযোগিতাও গ্রামবাসীদের ভাগ্যে জুটে কম। এ গ্রামের জিনমনি কোচনী, শুকমনি কোচনী, পর্বেশ্বরী