শেষ বিকেলে হতাশায় টাইগাররা
খেলা ডেস্কঃ সারাদিন উৎসব চলল। সকালেই ৪ উইকেট। দেশের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে এর চেয়ে ভালো শুরু আর কি হতে পারতো? মোস্তাফিজ-মেহেদী-সাকিবরা বাঘের মতোই আক্রমণে আক্রমণে ঠিকই চেপে ধরেছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। তৃতীয় সেশনের শুরুতে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৯৫। সেই তারাই একটু আগেভাগে শেষ হওয়া প্রথম দিনের শেষ বিকেলে কেবল হতাশাই উপহার দিল টাইগারদের। বৃষ্টি আসতে পারে ভেবে দিনের খেলা যখন গুটালো তখনো শ্রীলঙ্কা সেই ৭ উইকেটেই। রান ২৩৮। সারাদিন খেলা হয়েছে ৮৩.১ ওভার। ৩ স্পিনারের বাংলাদেশ বুধবার বোলিংয়ে সময় মানতে একটু পিছিয়েই ছিল।
সেই সময় পুরো করতে আম্পায়াররা উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু যেখানে প্রথম দিনেই ব্যাট করতে নামার কথা বাংলাদেশের সেখানেই কিনা কি সব হচ্ছে! দিনেশ চান্ডিমাল ৮৬ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গী অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ ৬৩ বল খেলে ১৮ রানে। অষ্টম উইকেটে ১৮.৩ ওভার কাটিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব তাদের। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ওভারের দিক দিয়ে দ্বিতীয় দীর্ঘ জুটি। রানের দিক দিয়ে যা তৃতীয়। ৪৩ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে আর বলার মতো আছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও নিরোশান ডিকভেলার সমান ৩৪ রান করে।
সবসময় যে ভোরের সূর্য গোটা দিনের সত্য চিত্র তুলে ধরে না বুধবার কলম্বোর পি. সারা ওভালে বাংলাদেশ হাড়ে হাড়ে তা বুঝল এদিন। চারটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা দ্বিতীয় এই টেস্টে। মাহমুদউল্লাহ, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, মুমিনুল হক নেই। অভিষেক মোসাদ্দেক হোসেনের। ফেরা ইমরুল কায়েস, তাইজুল ইসলাম ও সাব্বির রহমানের।
টস হেরে প্রথম তিনটি ওভারই মেডেন! মোস্তাফিজুর রহমান-শুভাশীষ রায়ের নতুন বলের জুটি কাঁপাতে লাগল। এরপর মোস্তাফিজের আঘাত। তারপর কাটার মাস্টারের বন্ধু মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট নেন। শুভাশীষ ১টি। ৪ উইকেটে ৭০ রানে লাঞ্চে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
এরপরের সেশনে মাত্র একটি উইকেট। সেটি তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসান প্রথম উইকেটটি নেন চা বিরতির পর পর। তাকে অনুসরণ করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটটি তুলে নেন মোস্তাফিজ। কি বিপদেই না তখন শ্রীলঙ্কা। অল আউট হওয়ার শঙ্কা চেপে ধরেছে তাদের। কিন্তু হলো না। দিনের শেষের হিসেব, লঙ্কানদের ৭ উইকেটের ২টি করে মোস্তাফিজ ও মেহেদীর, ১টি করে শুভাশীষ, তাইজুল, সাকিবের। আর মাত্র ৩টি উইকেট তুলে নিতে না পারার হতাশা নিয়েই পরের দিনটা শুরু করতে হবে, এই নিয়তি মেনে নিয়েই মাঠ ছাড়ে মুশফিকুর রহীমের দল।