উত্তর কোরিয়ার বিশাল অস্ত্র ভান্ডারে যা যা আছে
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে বিশাল এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্য অস্ত্র-সরঞ্জামের পাশাপাশি ৬০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিভৃতকামী কমিউনিস্ট দেশটির মজুতে বিভিন্ন পাল্লা ও ক্ষমতার হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্য অনুযায়ী স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার কিলোমিটার বা তার কম দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাড়ি দিতে পারে এক হাজার থেকে তিন হাজার কিলোমিটার। এর পরের ধাপের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তিন হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আর আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
ইউএস সেন্টার ফর ননপ্রোলিফারেশন স্টাডিজের তথ্যমতে, উত্তর কোরিয়ার হুয়াসং-৫ ও হুয়াসং-৬ স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো স্কাড-বি ও স্কাড-সি নামেও পরিচিত। ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় আঘাত হানতে সক্ষম।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী পিয়ংইয়ংয়ের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে নডং অন্যতম। এগুলোর পাল্লা এক হাজার কিলোমিটার বা তার বেশি। ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
গত বছর উত্তর কোরিয়া একাধিকবার তাদের মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র আড়াই হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সংস্থার হিসাব মতে, মুসুদানের পাল্লা ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার। অন্য সূত্রগুলোর দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র চার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া এখন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।