ঠাকুরগাঁওয়ে গমক্রয় দূর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলনঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে গম ক্রয়ে দূর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তকার্য সম্পন্ন করেছে জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজামান বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন। তবে অভিযোগকারীদের না জানিয়েই এক তরফাভাবে তদন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে পীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে গম না কিনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গম ক্রয় করা হয়। এর প্রতিবাদে একটি বাম রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ সভা সহ প্রশাসনের বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করে। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন মুতর্জা সহ বেশ কয়েকজন কৃষক প্রতিনিধি। এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ২ বছর পর গত বুধবার (৩১ মে) উক্ত অভিযোগের তদন্তে আসেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এসময় দাপ্তরিক বিভিন্ন কাগজপত্র দেখেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। দাপ্তরিক কাগজে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরশনের পরামর্শ দেন তিনি। তবে তদন্তকালে অভিযোগকারীদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়নি।
অভিযোগকারী মুর্তজা জানান, এ বিষয়ে তাদের কাউকেই আগাম কোন কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি ধামা চাপা দিতেই দীর্ঘদিন পর নাম কা ওয়াস্তে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগকারীদের অনেকেরই দাবী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নয়, তাদের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হলে বিষয়টি ধরা পড়বে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিন রানা এরই মধ্যে দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং নিষ্পত্তির জন্য একটি দায়সাড়া তদন্তের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিন রানা বলেন, গম কেনা নিয়ে কি হয় না হয়, এটা ডিপার্টমেন্টের সবাই জানে। কাজেই এখানে আমার একার করার কি আছে! অভিযোগ যথা নিয়মে তদন্ত হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান জানান, তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এসময় অভিযোগকারীদের কাউকেই উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এবারো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২৮ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ৪২০ টন গম কেনার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।