নড়াইলে ৬৪০ জন শিক্ষক আর্থিক ক্ষমতা না পাওয়ায় ট্রেনিং করাতে পারলেন না ! ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ আর্থিক ক্ষমতা না পাওয়ায় সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) ট্রেনিং করাতে পারলেন না (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস। ফলে ৬৪০ জন শিক্ষক আর্থিক ও পেশাগত দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নড়াইলের শিক্ষক ও সচেতন মহল।
নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৭১.১১.০১১.২০১৬- ৪৪৯, তারিখ-২৬/০৪/২০১৭৭খ্রি. মোতাবেক নি¤œস্বাক্ষরকারীকে (জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার) ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান দর্শনের জন্য ২২/০৫/২০১৭ হতে ১৫/০৬/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত ২৫ (পচিশ) দিন অথবা যাত্রার তারিখ হতে ২৫ (পচিশ) দিন অর্ধগড় বেতনে বহি: বাংলাদেশ ছ’টি মঞ্জুর করা হয়। এমতাবস্থায় জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার গত ২৫/০৫/২০১৭ তারিখে নিজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি করে অফিসে রেখে ভারতে চলে যান। চিঠির কপি(২৯/০৫/২০১৭ খ্রি. হতে ২২/০৬/২০১৭ খ্রি. পর্যন্ত ২৫ (পচিশ) দিন ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান দর্শনের জন্য বহি: বাংলাদেশ ছুটিতে ভারত যেতে ইচ্ছুক। বর্ণিত অনুপস্থিতিকালীন সময়ে অত্রাফিসের সাময়িক দ্বায়িত্ব পালন করবেন আর্থিক লেনদেন ব্যাতিত সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস (মোবাইল নং-০১৭২০২৬২১৯৫)। এ বিষয়ে নড়াইল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল্লাহ বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার স্যার আর্থিক ক্ষমতা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস স্যারকে না দেওয়ায় এ বছর ট্রেনিংটা হলোনা। আমরা ঢাকা অফিসের সাথে কথা বলেছি কিন্তু জুন ক্লোজিং মাস হওয়ায় ৬৪০ জনের ৬ দিন ব্যাপি আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার এ ট্রেনিং আর্থিক ক্ষমতার অসুবিধার কারনে এ বছর করা সম্ভব হলোনা। বিধায় নড়াইলের শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলো।
এ বিষয়ে নড়াইলের সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে এ বছর নড়াইল সহ বাংলাদেশের ২২ জেলায় সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর ট্রেনিং এ মাসে হবে। কিন্ত জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে আর্থিক ক্ষমতা না দেওয়ায় আমি এ ট্রেনিং করাতে ব্যর্থ হচ্ছি। এটা আমার জীবনের চরম ব্যর্থতা এবং আমি খুবই মর্মাহত। আমি চাকুরীর জীবনে অনেক ট্রেনিং সফলভাবে করিয়েছি। কিন্তু এ ট্রেনিং না করাতে পারায় নড়াইলের ৬৪০ জন শিক্ষক আর্থিক ও পেশাগত দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হলো। তিনি আরো বলেন, আমরা অফিসের সকলে একসাথে আলোচনা করে আর্থিক ক্ষমতা পাওয়ার জন্য একমত হয়ে অফিসের নিয়মানুযায়ী ঢাকা অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে ঢাকায় অফিসের কামরুলকে পাঠালে কে বা কারা ভারতে থাকা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার স্যারকে জানিয়ে দিলে স্যার কামরুলকে নিষেধ করেন ঢাকা অফিসে যেয়ে আর্থিক ক্ষমতা না আনতে। এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার দেশের বাইরে থাকা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ০১৭১৬৫০৬৯৩৬। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধূরী আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা,তবে সল্প মেয়াদি ট্রেনিং বা ছুটি হলে আর্থিক ক্ষমতা না ও দিতে পারেন। তথাপিও আমি বিষয়টি দেখব কেন আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হলোনা।