নড়াইলে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে লম্পট এসআই বরখাস্ত
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তা প্রত্যাখ্যান করায় নড়াইলের শেখহাটি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (আইসি) এসআই মোঃ আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রতারণার শিকার এক নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলামের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, এসআই মো.আবদুল করিম নড়াইলের কালিয়া থানায় কর্মরত থাকাকালে পাশের গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন এবং দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওই নারী আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করার কথা বললে সম্মান হারানোর ভয় দেখিয়ে এড়িয়ে যান এসআই করিম। গত ১৪ মার্চ চিকিৎসকের পরামর্শের নাম করে ওই নারীকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলাধীন চাঁচুড়ী বাজারের পল্লী চিকিৎসক রজিবুল ইসলাম মিঠুর নিকট নিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর প্রস্তাব দেয় এসআই। এতে অস্বীকৃতি জানালে বিয়ে না করার হুমকি দেয় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে ওই নারীর অসম্মতিতে ইনজেকশন দিলে গর্ভপাত ঘটে। পরে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন এসআই করিম। ওই নারী নড়াইল পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলামের নিকট ও সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এসআই করিমের শাস্তির দাবি করেন। প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম এসআই করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী ওই নারী এ প্রতিবেদককে বলেন, ্#৩৯;করিমের মত প্রতারক, দুশ্চরিত্রের অধিকারী ও জঘন্য প্রকৃতির লোক পুলিশ বিভাগে থাকা উচিৎ নয়। তার প্রেমের ছলনায় আমি আমার স্বামী-সন্তান, সংসার ও ইজ্জত-সম্মান সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।্#৩৯; নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর এসআই করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পুলিশ কোন অপরাধীকেই ছাড় দিবে না।
অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক বা পুলিশের সদস্য হোক বিচারের কাঠগড়ায় তাকে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।