সব

এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৬৫ টাকা

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 8th June 2017at 10:21 pm
72 Views

24

স্টাফ রিপোর্টারঃ এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও সর্বনিম্ন ফিতরার হার ছিল ৬৫ টাকা। তবে সর্বোচ্চ ফিতরার হার ছিল এক হাজার ৬৫০ টাকা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এর হার নির্ধারণ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

সামর্থ্য অনুযায়ী গম বা আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।

গম বা আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।

এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটার ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) আটা বা এর বাজার মূল্য ৬৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৬০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৯৮০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল সামর্থবান মুসলিমের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। একইভাবে ফিতরার খাদ্য ঈদের নামাযের আগেই বন্টন করাও ওয়াজিব।

ঈদের নামাযের পর পর্যন্ত দেরি করা জায়েয নয়। বরঞ্চ ঈদের এক বা দুই দিন আগে আদায় করে দিলে কোন অসুবিধা নেই।

সভায় জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য মো. মোজাহারুল মান্নান, মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মুফতী মো. আবদুল্লাহ, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমদ, মুফাসসির মো. আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফতী মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আবদুল জলীল, মুফতী এহসানুল হক, মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গণী, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ খবর