যৌন উত্তেজক পোষ্টারে ছেয়ে গেছে বিরামপুর
সামিউল আলমঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে পৌরসভা সহ ইউনিয়ন গুলোতে হারবাল চিকিৎসার নামে যৌন উত্তেজক পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের লোকাল বাসস্ট্যান্ড-এ অবস্থিত ‘রাজধানী হারবাল’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে বিরামপুর পৌর এলাকা সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে বাজার-হাট, স্কুল-কলেজ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ, দোকান-পাট, চলাচলের রাস্তার
দুই পার্শ্বে, এমনকি মসজিদের প্রবেশ মুখে লাগানো রয়েছে রং-বেরঙের বড় বড় পোষ্টার যাতে বড় বড় করে লেখা রয়েছে যৌন সংক্রান্ত চিকিৎসার নামে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক অশ্লীল বাক্য। যার প্রভাব পরছে স্কুল পড়–য়া ছোট ছোট কচিকাচা শিশু-কিশোরদের উপর। এতে করে বিব্রত হচ্ছে পথচারী, অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা।
পৌর শহরের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ ধরনের বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি অথচ পৌর মেয়রের নিশ্চুপ থাকা
দেখে হতাশ পৌরবাসী। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কর্মকান্ড চলছে দেখে এক ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের হাত করেই রাজধানী হারবাল নামক এই প্রতিষ্ঠানটি এসব অশ্লীল বাক্য সম্বলিত পোষ্টার ছাপিয়ে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে না তো…??? এমনকি প্রতিষ্ঠানটির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন জনমনে।
বিরামপুর মাদক প্রতিরোধ ও জনকল্যাণ সংস্থা’র উপদেষ্টা মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ বলেন, “হারবাল চিকিৎসার নামে বড় বড় পোষ্টারে যৌন উত্তেজক অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে সমাজ ও পরিবেশের ভাব-মূর্তি নষ্ট করছে
এই প্রতিষ্ঠানটি। অতি শীঘ্রই এসব বন্ধ করা না গেলে শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে পতিত হবে”। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিরামপুর পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল জানান, “আমার নিকট এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। সুতরাং, আমি এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। যেহেতু এখন জানলাম বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে”।
বিরামপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাংশু কুমার সিংহ মুঠোফোনে জানান, “আমি বিষয়টা অবগত রয়েছি এবং শীঘ্রই সরেজমিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলে অবশ্যই সমস্ত কাগজ পত্র খতিয়ে দেখা হবে”।