কোটালীপাড়ায় ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা
নাইমুল ইসলামঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে
দেখা যায়, উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের ১০৯ নং কালারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ বছরের পুরানো ভবনে ও ১৫ বছরের পুরানো ভাঙ্গাচুরা টিনসেড ঘরে জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করছেন শিক্ষক ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। ঐ এলাকার ১২২জন ছেলে মেয়ে বর্তমানে স্কুলটিতে লেখাপড়া করছেন। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
বিদ্যালয়টিতে ৫জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ৪জন। বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকায়। বিভিন্ন কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তা আজও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। তামিম খান, শাহিন খান, রিফাত খান, ফুলতুশি খানম, তাসলিমা খানম, লিনা খানম, সুমাইয়া খানম, হাফসা খানম সহ সকল ছাত্র-ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন- এই পুরাতন ভবনে ক্লাশ করতে আমাদের ভয় লাগে, একটি নতুন ভবন তৈরি হলে আমরা আনন্দের সহিত লেখাপড়া করতে পারতাম। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে, টিনসেড ঘরটিও নড়বড়ে, যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। জীবনের ঝুকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশ করাতে হয়। মাঝে মধ্যে গাছ তলায়ও ক্লাশ করাই-কথাগুলি আবেগের সহিত বলছিলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সামচুদ্দিন খান। তিনি আরো জানান- অচিরেই বিদ্যালয়টির অবকাঠামো মুলক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকার্ষন করছি।
এ বিষয়ে যোগযোগ করা হলে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন খান বলেন- বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভবনটির বড় বড় ইট সুরকি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে, বার বার তাগিদ দেয়া সত্বেও এব্যাপারে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। অতিসত্বর পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন করা একান্ত প্রয়োজন বলে জানান।