সব

মুক্তির পর ধানের শীষে ভোট চাইবেন খালেদা জিয়া

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 23rd February 2018at 5:18 pm
126 Views

স্টাফ রিপোর্টারঃ আগামী রোববার বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ। তার মুক্তির পর কারোর আপত্তি না শুনে জনসভা করে ধানের শীষে ভোট চাইবেন বেগম খালেদা জিয়া বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

আজ (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, বিএনপি প্রমাণ করবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নেয়া যায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার যদি মিছিল সমাবেশের সুযোগ না করে দেয় তাহলে বুঝবো, যে আগামী নিবার্চনের আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে সে কাজ করছে।

তিনি বলেন, নিবার্চন কমিশনের দায়িত্ব ৫ বছর হলেও নিবার্চনের আচারন দেখে মনে হয় তফসিল ঘোষণার পরে তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলে না, আওয়ামী লীগ যদি নৌকা প্রতীকের ভোট চাইতে পারে তাহলে বিএনপিও ধানের শীষে ভোট চাইতে পারবে। এতে প্রমাণ হয় নিবার্চন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিবাদী সমাবেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, বিএনপির নিবার্হী কমিটির সদস্য শিরিন সুলতানা, রফিক সিকদার প্রমুখ বক্তৃতা দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকারবকশিবাজারের আলীয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এবং তারেক রহমান’সহ বাকি ৫ আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড’সহ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। নির্জন কারাগারের একমাত্র বন্দি হিসেবে বেগম জিয়া সেখানেই আছেন।

প্রায় ১০ বছর আগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

কিন্তু আসামিপক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে বর্তমানে ওই অর্থ ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে এবং তা সুদে-আসলে বেড়ে ৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের তখনকার উপ-সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এ মামলার এজাহারে খালেদা জিয়াসহ মোট ৭জনকে আসামি করেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। রায়ে তারেক রহমান, শরফুদ্দীন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এ রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার দায়ের করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে তার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রোববার ২টায় সময় ধার্য করেছেন আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতের নথি তলব করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


সর্বশেষ খবর