আবারও বাড়লো চাল, পেঁয়াজের দাম
অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর পাইকারি বাজারে আবারো বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। আড়তদারদের অতি মুনাফা আর বাড়তি মজুতদারির কারণেই চালের দাম কমছে না বলে দাবি পাইকারদের। রসুন আর আলুর দামে স্বস্তির খবর থাকলেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার।
মসলার বাজার কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের ডালের দাম। তবে হঠাৎ করেই বেড়েছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম।
গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানীর চালের বাজারে নেই তেমন কোন স্বস্তির খবর। সপ্তাহ ব্যবধানে এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে সবধরনের চালের দাম। শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক হওয়ারও কোন সুখবর নেই পাইকারদের কাছেও। তবে বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি মিল পর্যায়ে মনিটরিং করলে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘যে মিনিকেট বিক্রি করেছি ৩ হাজার টাকা আজ সেটা বিক্রি করছি ৩ হাজার ৬৫ টাকা। ২৫ বিক্রি করতাম আড়াই হাজার টাকা সেটা আজ বিক্রি করছি পঁচিশ’ পঞ্চাশ টাকা।’
আরেক পাইকার বলেন, ‘বর্তমানে অটোরাইসমিলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যে পরিমাণ ধানের প্রয়োজন সেটা বাজারে নেই। প্রতিযোগিতা করে ধান কিনে এই মিল মালিকরা। এতে ধানের দাম বেশি হয়। এতে করে চালের দামও বেড়ে যায়। এটা যদি সরকার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার তাহরে বাজার শিথিলই থাকবে।’
পাইকারি পর্যায়ে রসুন আর আলুর দাম কমলেও ৩ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। তবে সরবরাহ ভালো থাকায় শিগগিরই দাম কমার ব্যাপারে আশাবাদী পাইকাররা।
মসলার বাজারে জিরা আর এলাচের দাম কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে সবধরনের ডালের দাম।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা বেড়ে ৫শ’ ১০ টাকা আর ২ থেকে তিন টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৩ টাকা