দলে ‘পিতা’র ভূমিকা পালন করতে চান ওয়ালশ
স্পোর্টস ডেস্কঃ দরজায় কড়া নাড়ছে নিদাহাস ট্রফি। আগামী ৬ মার্চ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের সঙ্গে থাকছে ভারত এবং বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় এ সিরিজটি নিয়ে তোড়জোড়ের শেষ নেই বিসিবিতে। সাকিবের ইনজুরি, মাশরাফিকে ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা এবং শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তায় ভরা দল ঘোষণা।
সেই যে হাথুরুসিংহে চলে গেলেন, তারপর থেকেই ‘অভিভাবকহীন’ মাশরাফি, সাকিবরা। এখনও পর্যন্ত হেড কোচ ঠিক করতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-২০ সিরিজে কেউই ছিলেন না প্রধান কোচের ভূমিকায়। এক্ষেত্রে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার, সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সজনরাই চালিয়েছেন। তবে সফলতা আসেনি একেবারেই। হাথুরুর লঙ্কার কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে টাইগারদের।
তাই নিদাহাসের আগে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। দলের প্রধান কোচের খন্ডকালীন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ স্টাফ কোর্টনি ওয়ালশকে।
‘এটি একটি অন্তর্র্বতীকালীন দায়িত্ব। গত কয়েকটি সিরিজ আমরা হেড কোচবিহীন। আমাকে এই কাজটি করার জন্য বলা হয়েছে। অনেক বেশি আলোচনার কিছু ছিলো না। আমি এখানে আছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরাটার জন্য চেষ্টা করে যাবো।’
কাজটাকে কেবলই পেশাদারিত্বের মোড়কে রাখতে চান না এ ক্যারিবিয়ান। দীর্ঘদিন দলটার সঙ্গে থাকা এ কিংবদন্তীকে কিছুটা আবেগীও হতে দেখা গেলো এদিন। তার মতে, কোচের ভূমিকা হওয়া দরকার পিতার মতো।
তাসকিন, সাব্বিরদের মতো দলের প্রতিভাবান যে ক্রিকেটাররা ফর্মহীনতায় ভুগছেন তাদের বিশেষ যতেœর দরকার বলেও মত তার।
‘তাদের আত্মবিশ্বাস যোগানোর জন্য (ভূমিকাটা) হতে যাচ্ছে পিতার মতো। আমাদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে, অফফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে সবাই অতিরিক্ত কাজ করতে প্রস্তুত কিনা। সবাইকে এটাই ভাবতে শেখাতে হবে যে, তাদের দলের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। যাতে তারা দলের জন্য খেলে এবং দলের চাহিদা পূরণ করে। আর এটাই হবে আমার নীতি।’